নদীর তীরে ভাঙনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। মানিকচক ব্লকের হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ক্রমশ নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার জমি। ক্রমশ নদী বাঁধের দিকে এগিয়ে আসছে। এ অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ চাইছেন এলাকাবাসী।
তাঁরা চাইছেন, দ্রুত বাঁধের কাজ করে ভাঙনের হাত থেকে এলাকা রক্ষা করুক জেলা প্রশাসন।
মালদা মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা নদী।
প্রতি বছর বর্ষার মরসুমে তীব্র ভাঙন দেখেছে এলাকাবাসী। বিস্তীর্ণ জমি গঙ্গা গিলে ফেলেছে বিগত বছরগুলোয়।
তবে এবার বর্ষা এগিয়ে আসতে বিক্ষিপ্ত ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকসেনা ঘাট, কেশবপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। আর এতেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি এ ব্য়াপার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি দিয়েছেন।
গঙ্গার ভয়ঙ্কর রূপ থেকে এলাকাকে বাঁচাতে প্রশাসন যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে, সেই আবেদন করছেন নদী তীরবর্তী পরিবারগুলি।
গত দিন কয়েক ধরে নদীর জল বাড়ছে বলে জানাচ্ছে স্থানীয়রা। এর ফলে নদীর তীরে বিক্ষিপ্ত ভাঙনও শুরু হয়েছে। তাই বর্ষার আগে ভাঙ্গনরোধে দ্রুত কাজের দাবী তুলছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই এলাকাগুলিতে ভাঙনের কাজ চলছে প্রশাসনের তরফে। আর সেই কাজের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে চলছে। দ্রুত এই সমগ্র এলাকাজুড়ে ভাঙন রোধের কাজ না হলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর রূপ নেবে গঙ্গা।
নদী বাঁধের দোড়গোড়ায় এসে পৌঁছলে বাঁধ ভেঙে যাবে যে কোনও মুহূর্তে। ফলে প্রশাসনের তরফে যাতে দ্রুত সেই কাজ করা হয়, তার দাবি তুলেছেন এলাকাবাসীর।
পুরো বিষয় নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মন্ডল। তিনি জানান, দিন কয়েক আগে সমস্ত এলাকা ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করেছেন মন্ত্রী-সহ প্রশাসনের কর্তারা। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত কাজ শুরু হবে।
বেশ কিছু এলাকায় কাজ চলছে। তবে নতুন করে যে সমস্ত এলাকায় ভাঙন হচ্ছে তার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দ্রুত যাতে ভাঙন রোধ করা যায়, সে কাজ শুরু করা হবে।