একদিকে সোমবার যখন গঙ্গা প্রসাদ শর্মা তৃণূমুলে যোগ দিচ্ছেন অন্য দিকে আলিপুরদুয়ারে বিজেপিতে তখন ভাঙ্গন অব্যাহত। সোমবার আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের ১১ টি গ্রামপঞ্চায়েতের বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য তৃনমূলে যোগ দিলেন।
১ নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রামপঞ্চায়েতের ২০ জন বিজেপির পঞ্চায়েত ছাড়াও ১৮২ টি বুথ থেকে প্রায় এক হাজার বিজেপির কর্মী সমর্থক তৃনমুলে যোগদান করেন। গঙ্গা প্রসাদ শর্মা সহ সাত জন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব সোমবার তৃণমূলে যোগদান করেছেন। মঙ্গলবার দিন প্রাক্তন জেলা সভাপতি আলিপুরদুয়ার ফিরবেন।
যাঁরা এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা সকলেই গঙ্গাপ্রসাদের অনুগামী বলেই মনে করচে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের অনুমান গঙ্গা প্রসাদ শর্মা আলিপুরদুয়ারে ফিরে এলেই তাঁর বাকি অনুগামীরাও তৃণমূলে যোগদান করবে।
আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপির পাঁচ বিধায়কই গঙ্গা প্রসাদ শর্মার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আলিপুরদুয়ার জেলা রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গেছে বিজেপির পাঁচ বিধায়কে কেন্দ্র করে।
গঙ্গা প্রসাদের পথ ধরে কে কে তৃণমূলে যোগ দেবেন তার আগাম হিসেব নিকেশ শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। গঙ্গা প্রসাদ শর্মা তৃণমূলের যোগদান করায় বিজেপিতে ভাঙ্গন শুধু এক নম্বর ব্লকেই সীমাবদ্ধ নয়। ভাঙ্গন শুরু হয়েছে কুমারগ্রাম ব্লকেও।
কুমারগ্রাম ব্লকের ৯ টি গ্রামপঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন বিজেপির নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য সোমবার তৃণমূলে যোগদান করেছে। আলিপুরদুয়ার দুই ব্লকের বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্য ৬ শতাধিক কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সোমবার তৃণমূলে যোগ দেন।
বিজেপির সুত্রে জানা গেছে, দুটি ধাপে প্রায় ৬ বছর বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।জেলা বিজেপির একটা বড় অংশ তার অনুগামী।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক সভাপতি মনোরঞ্জন দে বলেন, বিজেপি একটা ভাঁওতাবাজ দল। তাই মানুষ ওদের সাথে থাকছে না।
জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী কলকাতা থেকে বলেন, গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা যোগ দেওয়ায় আমরা অনেকটাই শক্তিশালী হব। বিজেপি মুক্ত আলিপুরদুয়ার গড়ার লক্ষে আমরা মিলেমিশে কাজ করবো।