গঙ্গা, ফুলহারের পর এবার মহানন্দা। মালদাবাসীর জীবন দুর্বিষহ করে ফের জল উপচে এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে মহানন্দার জল ঢুকেছে পুরাতন মালদা পুরসভার অসংরক্ষিত এলাকায়। যার ফলে বিপন্ন কয়েকশো পরিবার।
ইতিমধ্যেই উপায় না দেখে ঘরের জিনিস পত্র, আসবাব, মূল্যবান সামগ্রী ভগবান ভরসায় ছেড়ে রেখে, ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে প্রতি বছর অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাস থেকে মহানন্দা নদীতে জল বৃদ্ধি পায়। এ বছরও তার ব্যাতিক্রম নয়।
ফলে ইংরেজবাজার পুরসভার ৮, ৯, ১০, ১২, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা নদী সংলগ্ন অসংরক্ষিত এলাকায় জল প্রবেশ করে।
যার ফলে জলবন্দী হয় বহু মানুষ। অন্যদিকে পুরাতন মালদা পুরসভার নদী সংলগ্ন এলাকায় বহু মানুষ জলবন্দী।
যদিও এদের স্থায়ী পুনর্বাসনের স্থায়ী কোন সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা কোনও প্রশাসন পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ।
এবার অনেক আগে থেকে দুই পুরসভার প্রায় ১০হাজারের বেশি মানুষ জলবন্দি হয়েছে। তবে নেই কোনও সাহায্য। উঠছে ত্রাণ নিয়ে হাহাকার।
স্থানীয় বাসিন্দা শান্তনু হালদারের অভিযোগ, এত বছর হয়ে গেলেও আমাদের নির্দিষ্ট কোনও বসবাসের জায়গা নেই।
ফলে বন্য বা জল বৃদ্ধি হলেও এই নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করতে হয়। রয়েছে ভোটার কার্ড। প্রতি ভোটেই আশ্বাস মেলে সমাধানের।
অনেক ভোট পেরিয়ে যাওয়ার পর সব কিছু চুপচাপ হয়ে যায়। সব রাজনৈতিক দলই এক। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম কেউ দেখে না।
ফলে আমাদের এভাবেই চলতে হয়। আমরা গরিব মানুষ জায়গা কোথায় পাব ? কে দেবে ! আমরা চাই এর স্থায়ী সমাধান হোক।
তাতে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে প্রতি বর্ষায় রাতের ঘুম উড়বে না। অন্তত ছেলেপুলে-সংসার নিয়ে আস্তানাটুকু গড়ে নিতে পারব।
ইংরেজবাজার পুরসভার পুর প্রশাসক সুমলা আগরওয়াল জানান, আমরা বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছি। যেখানে যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেওয়া হচ্ছে। আমাদের লোকাল কো-অর্ডিনেটররা খোঁজ নিচ্ছেন। আমাদের তরফ থেকে বন্যার্দেতর উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।