এখনও নির্বাচনের কয়েকমাস বাকি থাকলেও রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা কিন্তু বেজে গিয়েছে। আর সময় নষ্ট না করে বঙ্গ বিজেপির রাশ কার্যত এখন গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিজেদের হাতেই নিয়ে নিয়েছে।
বাংলা দখলের লড়াইয়ে সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের ২ শীর্ষনেতা অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। দিল্লি থেকে নয়, প্রতি মাসে পশ্চিমবঙ্গে এসে বেশ কয়েকদিন করে থাকবেন তাঁরা। এমনটা আগেই জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
বিজেপি সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রচার নিজের হাতে পরিচালনা করতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবার থেকে তাই প্রতি মাসে নিয়ম করে পশ্চিমবঙ্গে আসবেন জেপি নড্ডা ও অমিত শাহ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই সেকথা জানিয়েছিলেন।
সেই মত দু'দিনের সফরে আগামী সপ্তাহে ফের বাংলায় আসছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, ৮ ডিসেম্বর কলকাতায় আসছেন জেপি নড্ডা। দু-দিনের সফরে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া ও দুই ২৪ পরগনায় দলীয় সংগঠনের আগামী নির্বাচন কেন্দ্রিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির মূল্যায়ন করবেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের কাজকর্ম দেখতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই বঙ্গ সফর। এর আগে গত অক্টোবরেই উত্তরবঙ্গে একদিনের সফরে এসেছিলেন জেপি নড্ডা।
পশ্চিমবঙ্গ মহারণের ঢাকে কাঠি দিতে বঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ‘চাণক্য’অমিতত শাহ এসেছিলেন গত নভেম্বর মাসের শুরুতেই ।
ক্ষমতা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির রাজ্যে আদিবাসী-তফসিলি-মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে টার্গেট করেছে। সেই লক্ষ্যেই অমিত শাহ রাজ্যে এসে বাঁকুড়ায় সাংগঠনিক বৈঠক করেন।
এদিকে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর পশ্চিবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তবে এই সফর রাজনৈতিক নয়। মূলত, বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই রাজ্য সফরে আসছেন তিনি। পাশাপাশি আরও কয়েকটি সরকারি কর্মসূচিতে তিনি যোগ দিতে পারেন।
শোনা যাচ্ছে কলকাতা মেট্রোর নতুন রুটের যাত্রাপথেরও সূচনা করবেন তিনি। মেট্রোর নোয়াপাড়া থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই যাত্রা পথের সূচনায় প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শেষবারে রাজ্য সফরে এসেছিলেন গত মে মাসে। দমদম বিমানবন্দরে নেমে হেলিকপ্টারে আমফান বিধ্বস্ত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা তিনি পরিদর্শন করেছিলেন। তার আগে তলতি বছর জানুয়ারিতে কলকাতায় এসেছিলেন মোদী। সেই সময় বেলুড়মঠে রাত কাটিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, এবারের বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় এক ডজনেরও বেশি নির্বাচনী জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, সেই সমস্ত জনসভা হবে রাজ্যে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরেই। ভোটের দিন ঘোষণার পরে জনসভা শুরু হলেও বাংলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রচার অবশ্য তার অনেক আগেই শুরু হয়ে যাবে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে বাংলায় প্রচারের কাজ শুরু করে দেবে বিজেপি।