চৈত্রের শেষের দিকে দাবদাহে রীতিমতো অস্বস্তিতে বাংলার মানুষ। একদিকে গনগনে গরম দক্ষিণবঙ্গে, অন্যদিকে লাগাতার বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে।
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় বাড়ছে গুমোট ভাব। চাঁদি ফাটা রোদের কারণে নাজেহাল অবস্থা সকলেরই। সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার থাকলেও গরম থেকে রেহাই মিলছে না দক্ষিণবঙ্গবাসীর।
এই পরিস্থিতিত আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মূলত শুষ্ক ওয়েদার থাকবে। শুধুমাত্র পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে উড়িশা সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে মূলত শুষ্ক ওয়েদার থাকবে। ১৪ তারিখে গিয়ে অর্থাৎ বুধবার মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও নদিয়ায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
আগামী ১৪ এবং ১৫ তারিখ দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা তেমন কোন পরিবর্তন হবে না শুধুমাত্র পশ্চিমের জেলা পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে তাপমাত্রা একটু বেশি ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৫ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি একটু কমবে কিন্তু ১৩ তারিখে গিয়ে আবার বৃষ্টি বাড়বে।
৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতি বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। বৃষ্টির প্রভাব একটু বেশি থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং ,কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ১৪ ও ১৫ তারিখ উত্তররের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
রাজ্যের কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবারেই উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী হয়েছে।