মার্চের শুরু থেকেই ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। দিন যত যাচ্ছে ততই তাপমাত্রা আরও বাড়ছে।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির দেখা মিললেও দক্ষিণবঙ্গে গরমে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এই অবস্থায় সকলেই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে।
অবশেষে কলকাতার জন্য স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় কালবৈশাখী সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা জারি করল হাওয়া অফিস।
আলিপুর বলছে, বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার অর্থাৎ এই সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপের দাপট বিকেলের পর থেকে কমতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের জন্য বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ,বীরভূম পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।
বুধবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলায় তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের পাঁচ জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমান এই পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে।
গত কয়েকদিনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী বয়ে গেলেও কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে এখনো তার দেখা পাওয়া যায়নি। যার ফলে ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রা। এই অবস্থায় বৃষ্টির জন্য মুখিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ। অবশেষে তাদের জন্য এল কিছুটা স্বস্তির খবর। বুধবার থেকে শনিবারের মধ্যে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে শহরে।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, বর্তমানে রাঢ়বঙ্গের ওপর দিয়ে যে সম্মিলন রেখা বিস্তৃত রয়েছে ছোটনাগপুরের মালভূমিক ওপর সৃষ্ট উচ্চচাপের জন্য তা কিছুটা পূর্ব দিকে সরে আসবে। যার জেরে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে হতে পারে কালবৈশাখী।
উত্তরবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি আর ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাতে। দু'এক জায়গায় শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।
এদিকে সোমবার সকালে শহরের আকাশ আংশিক মেঘলা ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে রোদের তেজ। এদিকে বাতাসে জলীয় বাস্প থাকায় আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়ছে। এদিকে বৃহস্পতি থেকে রবিবারের মধ্যে শহরে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। কালবৈশাখী হলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে তা ঠিক তবে বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সঙ্গে রয়েছে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কাও।