দীর্ঘদিন করোনা পরিস্থিতির জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ ছিল।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পর্যটন কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
ভ্রমন পিপাসু মানুষের ঢলও নেমেছিল এবার অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামে।
শীতে ঝাড়গ্রাম জেলায় বেড়ানোর নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছিল।
যার ফলে ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত সকলেই উপকৃত হচ্ছিলেন খুশিতে ছিলেন হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে গাড়ি ব্যবসায়ী ও টোটো চালকরা ।
বছরের শেষ দিন এবং নববর্ষের প্রথম দুই দিন পর্যটকের ঢল নেমেছিল ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে । যার ফলে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত সকলেই ।
কিন্তু ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছেন ঝাড়গ্রামের পর্যটন ব্যবসায়ীরা । করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের একবার পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার
নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে প্রতিটি পর্যটনস্থল । প্রতি বছর শীতের মরশুমে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই তিন মাসে বহু পর্যটক বেড়াতে আসেন ঝাড়গ্রামে । পর্যটনের উপর নির্ভর করেই সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ঝাড়গ্রামে তৈরি হয়েছে বহু হোটেল, লজ , গেস্টহাউস এবং হোম স্টে । নতুন বছর পড়ার আগে থেকেই এবার পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত । কিন্তু ফের একবার সরকারি বিধিনিষেধের জেরে ধাক্কা খেতে চলেছে পর্যটন শিল্প ৷
করোনা পরিস্থিতি বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকার রাজ্য জুড়ে আংশিক লক ডাউন ঘোষণা করেছে। তাই সোমবার থেকে পর্যটন কেন্দ্র গুলি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হোটেলে বুকিং বাতিল করে দিয়েছে হোটেল মালিকরা।
ঝাড়গ্রাম জেলার চিলকিগড় কনক দূর্গা মন্দির, ঝাড়গ্রাম এর মিনি চিড়িয়াখানা, বেলপাহাড়ির লালজল ,ঘাগরা জল প্রপাত, গোপীবল্লভপুর ইকো পার্ক,ঝিল্লি পাখিরালয় সহ নয়া গ্রামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে রবিবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলি। সামনে নোটিশ টাঙানো হয়েছে।
যার ফলে অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম এলাকায় পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত সকলেই একেবারেই হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সেই সঙ্গে অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে নেমে এসেছে অন্ধকারের কালো মেঘ।