সকাল সকাল ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে চেকিং! কখনও রাস্তায় তো কখনো টোল ট্যাক্সে। চেকিং দেখতে উৎসাহী লোকের ভিড় থাকলেও যে গাড়ি চেকিং হচ্ছে তার আত্মারাম খাঁচাছাড়া। সব ছবি ও তথ্য: দেবেন তেওয়ারি
না কোনও সরকারি চেকিং নয়। দলমার দমালের চেকিং। আর তারই প্রায় একঘন্টা অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক।
দলমার দল ছুট দাঁতাল হাতি। দাপিয়ে বেড়াল যেন মনে হবে কোনও শুটিং হচ্ছে রাস্তায়। টোল থেকে সোজা রাস্তায় হেঁটে চলেছে গজরাজ। খাবারে সন্ধানে এর আগে রাজ্য সড়কের ওপর গাড়ি আটকে খাবারের সন্ধান করতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে গজরাজদের।
এবার একটু অন্য মুডে জাতীয় সড়কে দাপাদাপি হাতির। তা দেখে ভিড় মানুষের। হাতির দৌরাত্ম্যে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয় জাতীয় সড়কে।
পরে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে পুনরায় হাতিটিকে পাশের জঙ্গলে পাঠিয়ে দেন। হাতিটি প্রায় রাস্তার ওপর চলে আসে কখনও ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক, কখনও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে।
কিছুক্ষণের জন্য রাস্তায় যান চলা চল বন্ধ হয়ে যায় দলছুট দাঁতালের দাপাদাপিতে। এই হাতিটি ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি, শালবনী, মোহনপুরের জঙ্গলে দলছুট হয়ে দীর্ঘ দিন রয়ে গিয়েছে।
এই এলাকার জঙ্গলগুলোয় ঘুরে বেড়ায়। খাওয়ার সন্ধানে কখনো জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ঢোকে কখনো রাস্তায় লরি দাঁড়করে খাওয়ার সন্ধান করে।
বেশ কিছু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে হাতির সামনে পড়ে হাতির আক্রমণে। বন দফতরের কর্মীরা বহু চেষ্টা করেও হাতিটিকে অন্যত্র পাঠাতে বিফল হয়েছেন।
ঘুরে ফিরে ঝাড়গ্রামের লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় থাকছে দীর্ঘ দিন। আজ জাতীয় সড়ক দাপিয়ে বেড়াল বেশ কিছু ক্ষণ। শেষে স্থানীয় মানুষ ও বন দফতরের কর্মী দের সহায়তায় গজরাজকে জাতীয় সড়কের ওপর থেকে জঙ্গলে পাঠানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অনেক উৎসাহী মানুষ তার পিছু পিছু যান। অনেকে ছবি তোলেন, ধাওয়া করেন। তবে এই কারণে বিপদ ঘটে যেতে পারত। এ ব্য়াপারে মানুষের সচেতনার অভাব রয়েছে। ফের এদিনের ঘটনা তা দেখিয়ে দিল। সব ছবি ও তথ্য: দেবেন তেওয়ারি