দেরীতে হলেও, বর্ষা বিদায় নিয়েছে দেশ থেকে। তবে রাজ্য থেকে এখনই বিদায় নিচ্ছে না বৃষ্টি। হেমন্তেও আগামী দই থেকে তিন দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। যার জেরে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হবে।
দুই ২৪ পরগনা ,পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়ায় আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেও।
হাওয়া অফিস বলছে, আজও মেঘলা থাকবে কলকাতার আকাশ। বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারনে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে শহরে। সকালের দিকে কিছু কিছু জায়গায় সামান্য কুয়াশাও হতে পারে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। বাতাসে প্রচুর আর্দ্রতা থাকায় অস্বস্তি বজায় থাকবে।
আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ, ন্যূনতম ৬৭ শতাংশ।
এদিকে শনিবার থেকে পারদ পতন হবে বলে সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। বর্ষা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য কমেছে রাজ্যে। সপ্তাহান্তে শীতের পরশ অনুভূত হতে পারে বলে আশার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের বেলায় তাপমাত্রার পারদ নামবে।
এদিকে সকালের দিকে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই সামান্য কুয়াশা পড়ছে। রাতে ও সকালের দিকে হালকা শীতের আমেজও থাকছে। আগামী শুক্র ও শনিবার রাতের দিকে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বর্তমানে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে পারদ নামবে। ফলে রাতের দিকে আরও শীতের আমেজ পাবেন পাহাড়বাসী। সকালের দিকেও থাকবে কুয়াশা।
উত্তরবঙ্গের আবহায়া মূলত শুষ্ক থাকবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদার আবহাওয়া থাকবে মনোরম।
গত কয়েকসপ্তাহে প্রবল বর্ষণে বিধ্বস্ত অবস্থা ছিল দার্জিলিঙে-সহ পাহাড়ের একাধিক জায়গায়। সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল দার্জিলিঙের। একাধিক জায়জায় ধ্সের কারনে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সড়ক যোগাযোগ।
মৌসম ভবন বলছে, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ভারতের পাঁচ রাজ্যে ভালো বৃষ্টি হবে। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাডু, পুদুচেরি ,কর্ণাটক, তেলেঙ্গনা এবং কেরলে বৃষ্টি চলবে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন দেশের পশ্চিমের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। যার কারণে দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যেই উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় শীত পড়তে শুরু করেছে। হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তুষারপাত শুরু হয়ে গিয়েছে।
এবার শীতে কাঁপিয়ে ঠান্ডা পড়বে এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। নভেম্বরের শুরু থেকেই দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারতে তাপমাত্রা পড়তে শুরু করবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।