রোদ ঝলমলে মহালয়া কাটিয়েছে শহরবাসী। আশা ছিল পুজোতেও আবহাওয়া তেমনটাই থাকবে। কিন্তু আশঙ্কার সুর হাওয়া অফিসের গলায়। পুজোর দিনগুলিতে হানা দিতে পারে বর্ষাসুর।
পূর্বাভাস বলছে, এবারের পুজোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কপাল খারাপ থাকলে সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়াও। পয়লা অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও তার পরবর্তী সময়ে বৃষ্টি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর পেছনে দায়ি হতে পারে সাইক্লোন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ব মধ্য এবং উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে অষ্টমী থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে বঙ্গে।
২ অক্টোবর রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশেষ করে উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যা চলতে পারে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই।
তবে পুজো শুরুর মুখে খুব একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। আবহাওয়া আর্দ্র থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
সপ্তমীর পর থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও ৪ ও ৫ অক্টোবর সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে এদিন বিকেলে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। কোনও কোনও জায়গায় বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস বলছে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হবে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। পুজোর চার দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে, এটাও মোটামুটি নিশ্চিত। তবে অনেকগুলি বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়। এক, ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে কি না। নিম্নচাপ হলে কতটা শক্তিশালী হবে। ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপের অভিমুখ কী হবে। সরাসরি বাংলার ঘাড়ে উঠে আসবে কি না। নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থান কী হবে। এই সব কিছুর উপরই নির্ভর করবে বৃষ্টির পরিমাণ।
শুধু বৃষ্টির পরিমাণ নিয়ে অনিশ্চয়তা নয়। কখন বৃষ্টি বাড়বে, ভারী বৃষ্টি হবে কি না, তাও স্পষ্ট হতে সময় লাগবে। অর্থাৎ সপ্তমী-অষ্টমী না অষ্টমী-নবমী না পুজোর একেবারে শেষবেলায় বৃষ্টি বাড়বে, সেই অঙ্কেরই উত্তর খুঁজছেন আবহবিদরা।