রাজ্য জুড়েই চলছে অকালবর্ষণ। উত্তরবঙ্গের উত্তর অংশ অর্থাৎ পাহাড় লাগোয়া এলাকায় ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ ফিরেছে। যা আরও কিছুদিন চলবে বলে জানানো হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গেও কখনও শিলাবৃষ্টি, কখনও ঝড়ো হাওয়া আছড়ে পড়ছে।
আবহাওয়াবিদ শুভেন্দু কর্মকার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব রাজস্থান থেকে দক্ষিণ আসাম পর্যন্ত একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। যার ফলে রাজ্যের বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তার ফলে পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ নদিয়া উত্তর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাগুলিতে ও আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, এই জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গ সতর্কতা বলতে বিভিন্ন জেলাতে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। আগামীকাল ও একই রকম সতর্কবার্তা জারি থাকবে পবলে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে আগামী দুদিন উপরের জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, এই পাঁচটি জেলায় বেশি এবং উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদার কয়েক জায়গা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিংয়ের উঁচু অঞ্চল সান্দাকফু ও ফালুটের দিকে। একটু নীচু এলাকায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমে শুক্রবার রাত থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে। শনিবার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় আংশিক মেঘলা আকাশ ও সর্বোচ্চ তাপমাএ ৩৪ ও সর্বনিম্ন ২৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের দুই জেলা দার্জিলিং-কালিম্পং এবং সমতলে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি থেকে সর্বনিম্ন ২৩ ডিগ্রি মধ্যে থাকার সম্ভাবনা। তবে ঝড়ো হাওয়া হলে তাপমাত্রার চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হবে।