বৈশাখ এখনও শুরু হয়নি। তারআগেই চৈত্রের শেষে প্রবল গরম বঙ্গে। ফলে এবারের বাংলা বর্ষবরণে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলার নতুন বছরের শুরুতে কলকাতাতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিস বলছে, রাজ্যের ৬-৭ জেলায় স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বা তার ও বেশি থাকতে পারে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, কঠিন দিন আসছে কলকাতায়। আজকেই ৩৮ ডিগ্রিতে সল্টলেকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
১০ এপ্রিল অর্থাৎ আজ থেকেই শুষ্ক গরম বাতাসের প্রভাব বেশি থাকবে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে। এখন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি রয়েছে। এই পারদ আরও বাড়বে, ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকবে পারদ স্বাভাবিকের থেকে। সঙ্গে ঘাম হবে না।
পার্বত্য এলাকা বাদ দিলে উত্তরের সমতলেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত চলবে।
কলকাতায় শেষ বৃষ্টি হয়েছে পয়লা এপ্রিল। আগামী ৫ দিন কোথাও বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও এখন নেই বাংলায়। জেলায় জেলায় এখনই ৩৭ বা ৩৮ ডিগ্রি রয়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অনেক জায়গায় খুব দ্রুত ৪০ ছুঁয়ে ফেলবে পারদ। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে একাধিক জেলায়।
কলকাতায় এপ্রিলে একটানা এতোদিন প্রায় একই রকম গরম এই প্রথম বলা যায়। পয়লা বৈশাখের পর আরও বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
হাওয়া অফিসের আশঙ্কা ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেএকাধিক জেলার তাপমাত্রা ৪০ ছাড়াবে।
আজ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা- আলিপুর ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দমদম ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সল্টলেক ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিখা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হলদিয়া ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ক্যানিং ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ডায়মন্ডহারবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আসানসোল ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতন ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়া ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মালদা ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কোচবিহার ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, জলপাইগুড়ি ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দার্জিলিং২০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।