শনি-সন্ধেয় কালবৈশাখীর পর একধাক্কায় নেমে গিয়েছে পারদ। আরও ৫ দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়া।
শুক্রবার সন্ধে থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। শনিবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে।
১ মে, রবিবার থেকে ৪ মে, বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে প্রতিদিন একই রকম বৃষ্টিপাত হবে না।
রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিরপাতের সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। রবি থেকে বুধবার পর্যন্ত জোড়ো হাওয়া চলবে।
প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে হাওয়ার। শনিবার কলকাতার উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গিয়েছিল তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৪ কিলোমিটার।
৫ মে, বৃহস্পতিবার ঝোড়ো হাওয়া কমে গেলেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে। তার পরেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, পূর্বদিক থেকে রাজ্যে ঢুকছে পূবালি হাওয়া। যাতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে। পাশাপাশি রাজ্যের উপর অবস্থান করছে একটি নিম্নচাপের অক্ষরেখাও।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ মে বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে দমকা হওয়া। বেশ কিছু জায়গায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।
সোমবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে দু-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে বৃষ্টিপাত কমবে। তবে বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি চলবে আগামী কয়েকদিন। তাপমাত্রা ২ থেকে চার ডিগ্রি কমবে উত্তরবঙ্গে ।
দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ৪ মে, বুধবার একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬ মে তা একটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। পরবর্তীকালে শক্তি বাড়াতে পারে।
তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এটাও প্রণিধানযোগ্য, বর্ষার আগে এপ্রিল-মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা বেশি। গতবার আমফানও এসেছিল মে-তেই।