শীতের আমেজ আছে। কিন্তু খাতায়কলমে এখনও শীত আসেনি। সেই শীতের আগমন আরও পিছিয়ে যেতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।
তার ফলে দক্ষিণবঙ্গে শীতের আমেজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এমনটাই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
নতুন সপ্তাহের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই গভীর নিম্নচাপই যদি শক্তি বাড়ায়, তাহলে তার থেকে ঘূর্ণিঝড়েরও সৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এবং তা ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে অবস্থান করলে, সেক্ষেত্রে আপাতত শীতের আগমন অনেকটাই পিছিয়ে যেতে পারে। কেন?
কারণ তাপমাত্রা হ্রাসের জন্য আকাশ পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। দিন ভূপৃষ্ঠে শোষিত তাপ রাতে বিকরিত হয়। এই কারণেই পারদ নামে। কিন্তু আকাশে মেঘের চাদর থাকলে সেটি বাধা পায়। উল্টে তাপমাত্রা তাই বেড়ে যায়।
সেই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকলে আরও বেশি গরম, অস্বস্তি অনুভূত হয়।
গত সপ্তাহের শেষে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের জেলা, অর্থাৎ বাঁকুড়া,পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে প্রায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
কলকাতাতেও পারদ ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গিয়েছে। তবে এখনও দিনের বেলায়, দুপুরে তাপাত্রা যথেষ্ট বেশিই রয়েছে।
বুধবারের মধ্যে নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের আবহাওয়ায় প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।