বাড়িতে না জানিয়ে বিয়ে করেছিল প্রেমিক। আর তাতেই শ্বশুরবাড়ি নারাজ নববধূকে ঘরে তুলতে। তাই নিজের স্বীকৃতি আদায় করতে শ্বশুরবাড়ির সদর দরজার সামনে ধর্নায় বসেছেন এই তরুণী।
মালদহের হিরশচন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রাম এখন সরগরম এই ঘটানেক ঘিরে। অভিযোগ, স্থানীয় যুবক প্রশান্ত দাস গ্রামেরই এক তরুণীকে বিয়ে করে লুকিয়ে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি রাজি নয় এই বিয়ে মানতে। তাই নিরুপায় হয়েই এমন কাণ্ড নাকি ঘটিয়ে ফেলেছন তরুণী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে পড়ার সময় নয় বছর আগে থেকে প্রতিবেশী প্রশান্ত দাসের সঙ্গে পূজা দাসের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা অতটা স্বচ্ছল নয়। অন্যদিকে প্রশান্তের পরিবার অবস্থাপন্ন। ফলে সেই সম্পর্ক প্রশান্তের পরিবার মেনে নেয়নি। এদিকে তরুণীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হলেও প্রশান্ত বারেবারে তা ভেস্তে দেন বলে অভিযোগ পূজার পরিবারের।
মালদহের হিরশচন্দ্রপুর থানার পিপলা গ্রাম এখন সরগরম এই ঘটানেক ঘিরে। অভিযোগ, স্থানীয় যুবক প্রশান্ত দাস গ্রামেরই এক তরুণীকে বিয়ে করে লুকিয়ে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি রাজি নয় এই বিয়ে মানতে। তাই নিরুপায় হয়েই এমন কাণ্ড নাকি ঘটিয়ে ফেলেছন তরুণী।
তরুণীর পরিবারের আরও অভিযোগ, কিছুদিন আগে প্রশান্তকে পরিবারের লোকজন বাইরে পাঠিয়ে দেয়। চারমাস বাদে ফের সে এলাকায় ফিরে তরুণীর সঙ্গে দেখা করে। গত ২৯ নভেম্বর পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে পূজাকে নাকি বিয়েও করেন। প্রশান্ত। বিয়ের পর তরুণীর বাড়িতেই কয়েকদিন কাটান ওই যুবক। কিন্তু গত রবিবার থেকে বেপাত্তা প্রশান্ত। তাই নিরুপায় হয়েই মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্নায় বসেছেন তরুণী।
এদিকে প্রশান্তের বিবাহিত স্ত্রী পূজার শ্বশুরবাড়ি তে প্রবেশ বন্ধ করতে ভ্যান রিক্সা দিয়ে বাড়ির সদর গেট বন্ধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠছে।
পূজার দাবি গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের বাড়িতেই ছিল প্রশান্ত। রবিবার ওই তরুণীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর যোগাযোগ করেননি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন স্বামীকে লুকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ। স্বামী তাঁর সঙ্গেই থাকতে চায় বলে দাবিও করছেন পূজা। তরুণী পূজার কথায়, "আমার স্বামী ভালো। কিন্তু বাপেরবাড়ি গরিব বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানতে চাইছেন না। ওরাই ওকে লুকিয়ে রেখেছে! মরি-বাঁচি এখানেই বসে থাকব।"
পিপলা গ্রামে এই ঘটনা ঘিরে সাড়া পরে গিয়েছে। শ্বশুর বাড়ির সামনে তরুণীর ধর্নার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশ।
তরুণী পূজার কথায়, "আমার স্বামী ভালো। কিন্তু বাপেরবাড়ি গরিব বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানতে চাইছেন না। ওরাই ওকে লুকিয়ে রেখেছে! মরি-বাঁচি এখানেই বসে থাকব।"
তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রশান্তের সাথে তরুণীর বিয়ের সত্যতা স্বীকার করে নেন। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মিমাংসার চেষ্টা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন ইতিপূর্বেও এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে সমাধানের চেষ্টার আশ্বাস দেন তিনিও।