Advertisement

Purba Bardhaman NH 2B Road Accident : বর্ধমানে ডাম্পার-টোটো সংঘর্ষ, মৃত একই পরিবারের ৪ জন সহ ৫

Purba Bardhaman NH 2B Road Accident: জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। টোটো ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ। একই পরিবারের ৪ জন-সহ মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ঘটনায় মারা গিয়েছেন টোটো চালক।

পূর্ব বর্ধমানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৫ (প্রতীকী ছবি)পূর্ব বর্ধমানে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৫ (প্রতীকী ছবি)
সুজাতা মেহরা
  • পূর্ব বর্ধমান,
  • 04 Apr 2022,
  • अपडेटेड 12:11 PM IST
  • জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা
  • টোটো ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ। একই পরিবারের ৪ জন-সহ মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের
  • পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা এনএইচ২বি (NH2B)-এর ঝিঁঝুটির কাছে চারুল আমতলা মোড় এলাকার ঘটনা

Purba Bardhaman NH 2B Road Accident: জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। টোটো ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ। একই পরিবারের ৪ জন-সহ মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ঘটনায় মারা গিয়েছেন টোটো চালক। পূর্ব বর্ধমানের ঘটনা এনএইচ২বি (NH2B)-এর ঝিঁঝুটির কাছে চারুল আমতলা মোড় এলাকার ঘটনা। 

মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন
মৃতের পরিবারের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, পরিবারের শ্বশুর, শাশুড়ি ও দুই বউমা প্রতিদিনের মতোই আজ পরিচিত টোটো করে মাছ ধরতে যাচ্ছিল। মাছ ধরেই সংসার চালাতেন তাঁরা। সেই সময় সামনে থেকে এসে ধাক্কা মারে পাথর বোঝাই ডাম্পার। পিষে দেয় টোটো চালক সহ ৪ আরোহীকে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।

আরও পড়ুন

নিহতদের পরিচয়
মৃতদের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ৩ জন মহিলা রয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁদের নাম হল গঙ্গা সাঁতরা (৬০), মামণি সাঁতরা (৩২), সরস্বতী সাঁতরা (৫৯) এবং সীমা সাঁতরা (৩৫)। টোটোচালকের নাম মইনুদ্দিন শেখ।

রোজ সকালে যেতেন
গঙ্গা ও সরস্বতী স্বামী স্ত্রী। সীমা ও চিন্তা তাঁদের দুই বউমা। এঁরা দিঘিরপাড় পালিতপুরের বাসিন্দা। কাছাকাছিই থাকেন সিজেপাড়ার বাসিন্দা মইনুদ্দিন শেখ। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনই ভোর বেলায় মইনুদ্দিনের টোটো করে ৪ জন নদীতে বা পুকুরে ঝিঁঝুটি তালিত সহ বিভিন্ন এলাকায় মাছ ধরতে যেতেন। আজও সেই কাজে বেরিয়েছিলেন। তখনই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। অনুমান ডাম্পারের চালক ঘুমিয়ে পড়াতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোতে সামনে থেকে ধাক্কা মারে। সেটা রাস্তার পাশে জমিতে পাল্টি খায়।

জেলে পরিবারের পরিজন জানান
ষষ্ঠী হাজরা জানান, তাঁরা রোজ সকালে মাছ ধরতে যেতেন। এটাই তাঁদের পেশা। এদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে কেউ বাঁচেননি। ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই পরিবারের ৪ জন রয়েছেন। 

Advertisement

টোটোচালকের পরিবারের সদস্য জানান
মইনুদ্দিন মামাশ্বশুর সাবির জানান, মাছ ধরতে যান রোজ কাকভোরে। রোজই যান তাঁরা। সেহেরি খেয়ে যান তিনি। এই নদী, ওই নদীতে মাছ ধরতে যায়। হাইরোডের কাছে ডাম্পার সোজা এসে মারে। তার মধ্যে পাথর ছিল। নয়ানজুলিতে ফেলে দেয়। এখন তো বাচ্চা ছেলেরাও ডাম্পার চালাচ্ছে। ঘুমিয়ে পড়েছিল বা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। মইনুদ্দিনের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement