scorecardresearch
 

শিল্প-রাজনীতি মিলেমিশে গিয়েছে তাই এত বেইমানি, বললেন মন্দাকিনী

বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নেতিবাচকতা বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়েই চলেছে। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সিনেমা বয়কট করার ট্রেন্ডে সোশাল মিডিয়া ভরে ওঠে। বলিউড অভিনেত্রী মন্দাকিনী প্রায় ২৫ বছর পর বড় পর্দায় ফিরতে চলেছে। এই নেগেটিভ ট্রেন্ড নিয়ে aajtak.com-কে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

Advertisement
মন্দাকিনী মন্দাকিনী

বলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে নেতিবাচকতা বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়েই চলেছে। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সিনেমা বয়কট করার ট্রেন্ডে সোশাল মিডিয়া ভরে ওঠে। বলিউড অভিনেত্রী মন্দাকিনী প্রায় ২৫ বছর পর বড় পর্দায় ফিরতে চলেছে। এই নেগেটিভ ট্রেন্ড নিয়ে aajtak.com-কে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।


বলিউডের বয়কট সংস্কৃতি নিয়ে কী বললেন মন্দাকিনী?

নেতিবাচকতা, বলিউড বয়কটের মতো বিষয়ে তার মতামত দিতে গিয়ে মন্দাকিনী বলেন- 'এই সব বিষয় দেখে খুব কষ্ট হয়। আগে এ রকম ছিল না। পরিচালকদের গুরুর চোখে দেখা হতো। প্রত্যেক শিল্পী তাকে শ্রদ্ধা করতেন। আমরা তাকে সবসময় সম্মানের মর্যাদা দিয়েছি। একটা সখ্য ছিল যা এখন দেখা যায় না। সম্ভবত এই কারণেই আজ শিল্পের লোকেরা একে অপরের গায়ে থুথু ফেলে।'

মন্দাকিনী আরও বলেন- 'আগে যে একে অপরের প্রতি সম্ভ্রম ছিল, এখন তা শেষ। বহু মানুষের মধ্যে একটা অহংকার চলে এসেছে। এরা মনে করেন, চাইলেই ইন্ডাস্ট্রিকে বদলে দিতে পারেন এবং এদের কারণেই এই ইন্ডাস্ট্রি চলছে। এত অহংকার থাকা উচিত নয়। একজন মানুষ যে উচ্চতায় থাকুক না কেন, তাকে বিনয়ী হতে হবে। আসলে সাধারণ জনগণ আপনাকে দেখে এবং ভালবাসে। তাদের আদর্শ মনে করেন। যখন তারা আপনার ঔদ্ধত্য দেখতে পায়, তখন স্পষ্টতই তাদের রাগ সামনে আসবে। তাদের ক্ষোভের ফসল বয়কট ও বাতিল সংস্কৃতি।'

এর বাইরে মন্দাকিনী এর অন্য দিক নিয়ে নিজের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, 'এটাও হতে পারে যে ইন্ডাস্ট্রির লোকেদেরই একাংশ এই প্রচার করছে। আমি মনে করি সব কিছুই পরিকল্পনার অংশ। রাজনৈতিক ও শিল্পের লোকজন মিলে এই পরিকল্পনা করছেন। কখনও কখনও আমি এমনও সন্দেহ হয়, যারা একে অপরের সম্পর্কে কথা বলছে তাদেরও কেউ শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছে। সব কিছুতেই বেইমানি আছে। তবে মিথ্যে কত কাল আড়াল করবেন?'

Advertisement


আপনার ছেলেও আপনার সঙ্গে অভিনয় গজতে পা রাখতে চলেছে। আপনি এই ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত কিছুই জানেন। ছেলের বিষয়ে কতটা প্রোটেক্টিভ?

'সন্তানকে রক্ষা করা মায়ের স্বভাব। যেহেতু আমার অভিজ্ঞতা আছে এবং জানি, তাই ও নিজের জায়গা তৈরি না করা পর্যন্ত আমি তাকে পথ দেখাতে থাকব। আমি তাকে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করব, যা সঠিক তা আমি ব্যাখ্যা করব। এটি প্রতিটি মায়ের কর্তব্য এবং অধিকার। আমি যতটা পারি করব। আমি ভাগ্যবান যে আজও আমার সন্তানরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে পরামর্শ করে। আমার ছেলে যখন তার ইচ্ছা প্রকাশ করল যে সেও অভিনয় করবে, আমি মোটেও অবাক হইনি। আমি চাই আমার সান্তানরা যা করতে চায় তা সবকিছু চেষ্টা করুক।'

 

Advertisement