Mamata Banerjee on K K: প্রয়াত শিল্পী কে কে-র প্রতি সম্মান জানানো হবে গান স্যালুটে। বুধবার বাঁকুড়ায় এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর জেলা সফর কাটছাঁট করে কলকাতার দিকে আসার কথা জানান।
পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা
বাঁকুড়ার সভা থেকে তিনি বলেন, "পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি ফোনে। চেষ্টা করছি শেষ দেখা যায়। তা হলে অণ্ডাল থেকে বিমানে দমদম এয়ারপোর্টে যাব। সেখানে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্য পুলিশকে দিয়ে গান স্যালুট করাব।"
পড়ুয়া এবং তরুণদের খুব প্রিয়
তিনি আরও বলেন, "তিনি একজন কৃতী শিল্পী। আমাদের পড়ুয়া এবং তরুণদের খুব প্রিয়। বলিউড থেকে টলিউড- সব জায়গায় ফেভারিট। তাঁর অনেক বিখ্যাত গান আছে। তাই আজকে আমায় মিটিংটা একটু সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছে। কখনও কখনও জরুরি প্রয়োজনে মিটিং সংক্ষিপ্ত হতে পারে। আপনারা জানেন ভাইবোনেরা আমার এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা দিদির এই কথা ভেবে দিদিকে কিন্তু আপনারা অলওয়েজ সহযোগিতা করেন। আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।"
আরও পড়ুন: গাছের 'রক্ত' দেখতে সেগুলোকে খুঁচিয়ে মেরেই ফেলছেন পর্যটকরা
আরও পড়ুন: আদানি উইলমার আইপিও করতে পারে মালামাল! অ্যালটমেন্ট চেক করুন এভাবে
আরও পড়ুন: পুরুষ-শরীরে এই ১০ লক্ষণ চিন্তার, ক্যান্সার নয় তো?
দিল্লিতে জন্ম শিল্পীর
রাজধানী দিল্লিতে জন্ম তাঁর, ১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট। কে কে-এর পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। তিনি হিন্দির পাশাপাশি আরও অনেক ভাষায় গান গেয়েছেন। বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়ালম, মারাঠি, অসমীয়া এবং গুজরাতি ভাষার চলচ্চিত্রের গানগুলোকে যেন তাঁর কণ্ঠ দিয়ে সাজিয়েছিলেন। দিল্লিতে জন্ম নেওয়া কে কে-র কর্মস্থল ছিল মুম্বই।
ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন
ছোটবেলায় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। কে কে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিড়োরি মল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক করেন। পরে এক হোটেলে কাজ করতেন। তবে আট মাস পর হোটেলের সেই চাকরি ছেড়ে দেন ভবিষ্যতের তারকা। তিনি ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন।
তাঁর গানে মন্ত্রমুগ্ধ ছিল গোটা প্রজন্ম। কে কে-র মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমাতে থাকেন তাঁর অনুরাগীরা। শোকে ভেঙে পড়েন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি, গান শেয়ার করে তাঁকে স্মরণ করেন গুণমুগ্ধরা।