বলিউডের দাবাং সলমান খানের (Salman Khan) জীবনে সঙ্কট কমার কোনও ইঙ্গিত মিলছে না। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) গ্যাংয়ের রাডারে ছিলেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে এই গ্যাং একবার নয়, দুবার সলমানকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছিল। সৌভাগ্যক্রমে, দুবারই সলমান খানকে আক্রমণের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে পঞ্জাব পুলিশের (Punjab Police) পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
কেমন ছিল সলমান খানকে হত্যার পুরো ষড়যন্ত্র?
সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলার আগে, লরেন্স বিষ্ণোই সলমান খানকে হত্যা করার জন্য একটি প্ল্যান বি তৈরি করেছিলেন। এই পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন গোল্ডি ব্রার, কপিল পণ্ডিত (লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন শুটার), যাকে সম্প্রতি ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেফতার হওয়া কপিল পণ্ডিত, সন্তোষ যাদব, দীপক মুন্ডি এবং আরও দুই শ্যুটার মুম্বাইয়ের ওয়াজে এলাকার পানভেলে একটি ভাড়া ঘরে থাকতে এসেছিলেন।
যেহেতু পানভেলে বলিউড সুপারস্টার সলমান খানের একটি ফার্ম হাউস রয়েছে। তাই একই ফার্ম হাউসে যাওয়ার পথে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শুটাররা এই রুমটি ভাড়া নিয়ে প্রায় দেড় মাস এখানেছিল। লরেন্স বিষ্ণয়ের এই সব শুটাররা সলমানকে আক্রমণ করার জন্য ছোট অটোম্যাটিক অস্ত্র, পিস্তল ও কার্তুজ ছিল।
শুটাররা এমনও জানতেন যে হিট অ্যান্ড রান মামলায় সলমান খানের নাম আসার পর থেকে তাঁর গাড়ির গতি খুবই কম থাকে। সলমান যখনই পানভেলে তাঁর ফার্ম হাউসে আসতেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শেরা উপস্থিত থাকত।
শুধু তাই নয়, যে রাস্তা দিয়ে সালমান খানের পানভেলের ফার্ম হাউসের দিকে যায় সেই রাস্তাটিও ট্র্যাক করেছিল শুটাররা। তারা লক্ষ্য করেছিল, ফার্ম হাউজে যাওয়ার রাস্তার প্রচুর গর্ত ছিল। ফলে সলমানের গাড়ির গতি স্বভাবতই কম থাকবে। ফার্ম হাউস পর্যন্ত সলমান খানের গাড়ির গতি ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারের বেশি হবে না। সে সময় তারা ফার্ম হাউজের নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সলমানের ফ্যআন হিসাবে ভাবও জমিয়ে ফেলে। যাতে সলমানের যাবতীয় গতিবিধি সম্পর্কে তারা জানতে পারে। জানা যায়, ওই সময় দুবার সলমান তার ফার্ম হাউসে গিয়েছিলেন, কিন্তু লরেন্স বিষ্ণোইয়ের শুটাররা তার উপর হামলা করতে ব্যর্থ হয়।