scorecardresearch
 

Neena Gupta: 'ভিভ ফ্যামিলি ম্যান নন', মাসাবাকে বুঝিয়েছিলেন নীনা

আত্মজীবনী সচ কহুঁ তো (Sach Kahun Toh) মুক্তি পাওয়ার পর থেকে খবরের শিরোনামে রয়েছেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা (Neena Gupta)। এমনিতে বলিউডের একেবারে ছকভাঙা চরিত্র নীনা। ফলে তাঁর জীবনের নানা চমকে দেওয়া ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বইয়ের মাধ্যমে। বইয়ে নীনা লিখেছেন, তিনি যখন প্রেগনেন্ট ছিলেন, সে সময় তাঁর বন্ধু অভিনেতা-পরিচালক সতীশ কৌশিক তাঁরে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

Advertisement
মাসাবার সঙ্গে নীনা গুপ্তা মাসাবার সঙ্গে নীনা গুপ্তা
হাইলাইটস
  • আমি মাসাবাকে বলেছিলাম, তোমার বাবা ফ্যামিলি ম্যান নন।
  • ভিভ (Vivian Richards) মাসাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না। সেটা ওর খারাপ লাগত। যাতে ওর খারাপ না লাগে, সে জন্যই বুঝিয়ে বলেছিলাম।
  • পরে অবশ্য মাসাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করে ভিভ।”

আত্মজীবনী সচ কহুঁ তো (Sach Kahun Toh) মুক্তি পাওয়ার পর থেকে খবরের শিরোনামে রয়েছেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা (Neena Gupta)। এমনিতে বলিউডের একেবারে ছকভাঙা চরিত্র নীনা। ফলে তাঁর জীবনের নানা চমকে দেওয়া ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বইয়ের মাধ্যমে। বইয়ে নীনা লিখেছেন, তিনি যখন প্রেগনেন্ট ছিলেন, সে সময় তাঁর বন্ধু অভিনেতা-পরিচালক সতীশ কৌশিক তাঁরে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সতীশ তাঁকে বলেছিলেন, 'চিন্তা কোরো না, যদি সন্তান ডার্ক স্কিনের হয় তো বলে দিও এই সন্তান আমার। আমরা বিয়ে করে নেব। এতে কারও সন্দেহ হবে না।'

নীনা-র মেয়ে মাসাবা গুপ্তা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস-এর (Vivian Richards) সন্তান। কিন্তু নীনার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি। নীনা একলাই মাসাবা-কে বড় করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে আপাতত তিনি বিবেক মেহরার সঙ্গে হ্যাপিলি ম্যারেড। স্বামীর সঙ্গে তিনি মাঝে মধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেন। মাসাবা-ও নিজের কেরিয়ারে প্রতিষ্ঠিত। বলিউডের নামকরা ফ্যাশন ডিজাইনার। কিছু দিন আগে অভিনয়ে ডেবিউ করে ফেলেছেন মাসাবা।

 

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Neena Gupta (@neena_gupta)

আগে এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, “আমি মাসাবাকে বলেছিলাম, তোমার বাবা ফ্যামিলি ম্যান নন। তিনি কেমন সেটাও বুঝিয়ে বলেছিলাম। ভিভ (Vivian Richards) মাসাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না। সেটা ওর খারাপ লাগত। যাতে ওর খারাপ না লাগে, সে জন্যই বুঝিয়ে বলেছিলাম। পরে অবশ্য মাসাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করে ভিভ।”

Advertisement

নীনা আরও জানান, ভিভ নাকি নিজের ইমোশন প্রকাশ করতে পারতেন না। তাঁর কথায়, “কখনও মাসাবাকে জন্মদিনে ফোন করত। কখনও আবার তিন বছর ফোনই করল না, এমনও হত। আমার ক্ষেত্রেও দেখেছি, কিছু একটা চাইলে সেটা দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যেত। কিন্তু নিজে থেকে কিছু দেওয়ার কথা মনে হত না ওর। ভিভ অত্যন্ত ডাউন টু আর্থ, ডিসিপ্লিনড। কিন্তু তার থেকে বেশি কিছু আশা করা যাবে না। আমার তো মন হয়, ঈশ্বর ওর বদলে আমার বাবাকে আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন।”

মাসাবাকে একা হাতে বড় করেছেন নীনা। পাশে পেয়েছিলেন তাঁর বাবাকে। আজ আর সে সব নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে নীনা বলেন, “আমি ভিভিয়ানকে ভালবাসতাম। যদি আপনি কাউকে ভালবাসেন, তাকে ওভাবে ঘৃণা করা যায় না। হয়তো একসঙ্গে থাকেন না আর। কিন্তু ঘৃণা করা যায় না। সেটা ধীরে ধীরে বোঝা যায়। আর নিজের মেয়েকে তার বাবার সম্পর্কে খারাপ কথাও বলা যায় না। আমি এটা কখনও করিনি। কেন আমি মেয়ের মন বিষিয়ে তুলব? ভিভের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে আমার। ভিভও আমাকে সম্মান করে। ফলে মাসাবা আমাদের দু’জনেই সম্মান করে। বিষয়টা খুব সহজ।”

 

Advertisement