scorecardresearch
 

ভোট দিয়ে মরলে নেতাদের অসুবিধা নেই! গানে খোঁচা অভিজিতের

মরবে মরো, কিন্তু ভোট দেওয়া পরে মরো। মূল বার্তা এটাই। অন্তত সঙ্গীত শিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য তাই মনে করেন। করোনা মহামারীর মধ্যে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রচারে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। সব দেখেশুনে সঙ্গীত শিল্পীর উপলব্ধি, জনতা মরলে তাতে কোনও অসুবিধা নেই, শুধু ভোটটা দিয়ে মরলেই হল।

Advertisement
অভিজিৎ ভট্টাচার্য অভিজিৎ ভট্টাচার্য
হাইলাইটস
  • করোনা মহামারীর মধ্যে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রচারে হাজার হাজার মানুষের ভিড়।
  • সব দেখেশুনে সঙ্গীত শিল্পীর উপলব্ধি, জনতা মরলে তাতে কোনও অসুবিধা নেই, শুধু ভোটটা দিয়ে মরলেই হল।

মরবে মরো, কিন্তু ভোট দেওয়া পরে মরো। মূল বার্তা এটাই। অন্তত সঙ্গীত শিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্য তাই মনে করেন। করোনা মহামারীর মধ্যে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের প্রচারে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। নেতাদের মুখেই মাস্ক নেই। চরম অসতর্কতা আর অবহেলার মাঝেই চলছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোট। সব দেখেশুনে সঙ্গীত শিল্পীর উপলব্ধি, জনতা মরলে তাতে কোনও অসুবিধা নেই, শুধু ভোটটা দিয়ে মরলেই হল।

সোশাল মিডিয়ায় তিনি এই গানের ভিডিও আপলোড করেছেন। শাহরুখ খান এবং রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি চলতে চলতে-র রোম্যান্টিক গান 'শুনো না শুনো না' গানটির সুরে এই প্যারোডি করেছেন। কথাগুলি তিনি পরিবর্তন করে গেয়েছেন, 'অক্সিজেন নেই, মেডিসিনও নেই, হস্পিটালে কোনও বেড নেই, নেতারা ব্যস্ত প্রচারে, ওদের পয়সা নষ্ট কোরো না, ভোট দেওয়ার আগে ম'রো না, ভোট দেওয়ার পরে মরো না...।'

পোস্টে সঙ্গীত পরিচালক শ্রবণ রাঠোরের মৃত্যু নিয়ে শোক প্রকাশ করেন অভিজিৎ। পোস্টে তিনি লেখেন, 'Amid the terrible resurgence of the second wave of #Covid, we lost a genius gem of our music world..Shri #SHRAVAN ji..literally an end of an era.. In this Battle what will be the #fateOfBengal'

 

ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। গোটা দেশের ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখার পরেও পশ্চিমঙ্গে ভোট প্রচারে কোনও খামতি দেখা যায়নি। গোটা রাজ্যে শাসক-বিরোধীদের হেভি ওয়েটরা একই দিনে একাধিক সভা করেছেন। রোড শো করেছেন। সেখানেও জনতার তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বলাই বহুল্য, সেখানে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্কের কোনও বালাই ছিল না। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বাংলার করোনা চিত্র একেবারে পাল্টে গিয়েছে। প্রতি দিন প্রায় ১৪ হাজার মানুষ সংক্রামিত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন বহু। তার মধ্যে অক্সিজেনের সংকট, ওষুধ অমিল, নেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনও। এ সব দেখেই শিল্পী অভিজিতের কটাক্ষে উঠে এসেছে 'কী যে হবে Bengal-এর'

Advertisement

 

Advertisement