অনেক আগে থেকেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে হয়েছিল যে এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে নুসরত জাহান টিকিট নাও পেতে পারে। আর ঠিক সেই পূর্বাভাসই ঠিক হল রবিবার ব্রিগেড মঞ্চে। চব্বিশের লোকসভাতে তৃণমূলের টিকিট পেলেন না নুসরত। তৃণমূলের ব্রিগেড গর্জনের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন বসিরহাট কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। কিন্তু তারপর থেকেই নুসরতের আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তবে রাত বাড়তেই নুসরতের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে এল বার্তা। সেই বার্তায় ইঙ্গিত রয়েছে নিজেকে আরও শক্তিশালী করার।
বেশ কিছুমাস ধরেই নুসরত জাহানকে নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়। সন্দেশখালিতে একের পর এক ঘটনা হয়ে যাওয়ার পরও কেন সাংসদ হিসাবে নুসরত একবারের জন্য সেখানে গেলেন না, তা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কেন তাঁর দেখা মেলেনি, কেন সন্দেশখালির পাশে দাঁড়াননি, কেন সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেননি, সেই প্রশ্ন যেমন তুলেছে বিরোধীরা। তেমনই তুলেছে সন্দেশখালির লোকজন। এমনকি তাঁর দলের লোকজনও নুসরতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি। নুসরত যদিও বারবার এই কথাই বলেছেন যে তিনি দলের নির্দেশেই কাজ করছেন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি দল সন্তুষ্ট নন নুসরতের কাজে?
কারণ যাই হোক না কেন নুসরতকে এই বছর তৃণমূলের প্রার্থী করা হল না এটা সত্যি ঘটনা। নুসরতকে এ দিন ব্রিগেডের মঞ্চেও দেখা যায়নি। টিকিট না পাওয়ার পরেই ছিলেন চুপ। ফোনেও পাওয়া যায়নি তাঁকে। তবে রাত বাড়তেই নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি পোস্ট করলেন অভিনেত্রী। নিয়ন আলো ধুয়ে দিচ্ছে তাঁকে। ক্যাপশনে নুসরত লেখেন, “আবারও শক্তি সঞ্চয় করে নিচ্ছি, বাকি সপ্তাহটার জন্য”। ব্যস আর কিচ্ছু লেখেননি নুসরত। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি কাণ্ডে নাম উঠে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায়, শাহজাহানের জন্যই ভোটে জিতে এসেছিল নুসরত। নুসরতের জায়গায় এবারে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন ‘ঘরের ছেলে’ নুরুল ইসলাম।
তবে শুধু নুসরতই নয়, এই বছরের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পাননি মিমি চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মিমি কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে তাঁর ইস্তফা পত্র দিয়ে এসেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে তিনি আর ভোটে দাঁড়াতে চান না। তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ। অপরদিকে, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের একাধিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।