scorecardresearch
 

Debesh Chattopadhyay- Ramprasad: 'রামপ্রসাদ'-এ আসছে নয়া ট্যুইস্ট, তন্ত্রসাধকের চরিত্রে এন্ট্রি নিচ্ছেন দেবেশ

Debesh Chattopadhyay- Ramprasad: বাংলা টেলিভিশনে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সকলেই চেষ্টা করছে, দর্শকদের মনোরঞ্জন করার। 'রামপ্রসাদ' ধারাবাহিকে এবার আসতে চলেছে নতুন মোড়।

Advertisement
দেবেশ চট্টোপাধ্যায় ও সব্যসাচী চৌধুরী দেবেশ চট্টোপাধ্যায় ও সব্যসাচী চৌধুরী

শুরুর পর থেকেই দর্শকদের মনে বেশ ভালই জায়গা করে নিয়েছে 'রামপ্রসাদ' (Ramprasad)। টিআরপি তালিকায় (TRP) বিশেষ প্রভাব না ফেলতে পারলেও, বেশ আলোচিত এই মেগা। ভক্তিমূলক এই ধারাবাহিকে সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) বিপরীতে রয়েছেন সুস্মিলি আচার্য (Susmili Acharjya)। বাংলা টেলিভিশনে (Bengali Television) চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। সকলেই চেষ্টা করছে, দর্শকদের মনোরঞ্জন করার।

'রামপ্রসাদ' ধারাবাহিকে এবার আসতে চলেছে নতুন মোড়। এন্ট্রি হবে সপ্তদশ শতাব্দীর জনৈক তন্ত্রসাধক কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের (Krishnananda Agamavagisha)। পৌরাণিক এই চরিত্রে দেখা যাবে নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ চট্টোপাধ্যায়কে (Debesh Chattopadhyay)। 

 

আরও পড়ুন

Debesh Chattopadhyay  takes entry in Ramprasad

 

কে এই কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ? এই বাংলার বুকে কালী পুজোর (Kali Puja) সূচনা হয় কৃষ্ণানন্দ আগামবাগীশের হাত ধরে। সেটিই ছিল প্রাচীনতম দক্ষিণা কালীর (Dakshina Kali) পুজো। পরবর্তীকালে তাঁরই দেখানো পথে বাংলা তথা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে কালী পুজো। কৃষ্ণানন্দ আগামবাগীশের জন্ম নদিয়ার নবদ্বীপে (Nadia Nabadwip)। তাঁর আসল পদবি অবশ্য ভট্টাচার্য। তবে তন্ত্র সাধনার আগম পদ্ধতিতে সিদ্ধিলাভ করে তিনি আগমবাগীশ উপাধি পান। অনেকে বলেন আগমবাগীশের নাকি অনেক অলৌকিক ক্ষমতা ছিল।  

কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের সময়কাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারও মতে তিনি চৈতন্যদেবের সমসাময়িক। আবার অনেকের মতে তাঁর জন্ম আরও কিছুটা পরে। সাধক রামপ্রসাদ সেনের তন্ত্রগুরু ছিলেন আগামবাগীশ। 'বৃহৎ তন্ত্রসার' (Brihat Tantrasara) নামে একটি বইও রচনা করেন তিনি।  আগামবাগীশ যে দেবীর পুজোর প্রচলন করেন তিনি আগমেশ্বরী মাতা (Agameswari Kali) নামে পরিচিত। নদিয়ার নবদ্বীপে আজও তাঁর পুজো হয়।  

বলাই বাহুল্য রামপ্রসাদের জীবনে একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ মানুষ কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ। আর পর্দায় সেই গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে রঙ্গমঞ্চের জনপ্রিয় অভিনেতা- পরিচালক দেবেশ চট্টোপাধ্যায়কে। আগামী ৮ জুলাই থেকে এই ধারাবাহিকের পর্দায় দেখা যাবে তাঁকে। দেবেশ জানালেন, "এই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুব ভাল লাগছে। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের চরিত্রে আমি অভিনয় করছি। কয়েকদিন আগেই একটি লেখালেখির মধ্যে আমি ছিলাম। সেখান থেকে জানতে পারি, কালী প্রতিমা প্রথম কল্পনা করে, রূপ দিয়েছিলেন তিনি। এটা নিয়ে একটা মিথ আছে, যেটা আমরা কখনও ইতিহাসও বলতে পারি। উনি কালীকে দেখেছিলেন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেওয়ালে ঘুঁটে দেওয়ার সময়। এটা আমাদের অনেক বাঙালি জীবনের গল্পের মধ্যে জড়িয়ে আছে, যেভাবে আমরা মা কালীকে দেখি। কিন্তু এটা একটা ঐতিহাসিক চরিত্র। যিনি, আমাদের এখানে একটা কাল্ট হিসাবে মা কালীর প্রচালন করেছিলেন, সেরকম একটা চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে অসম্ভব ভাল লাগছে। ইউনিটের প্রত্যেকে- আমার সহ অভিনেতার সকলে খুব ভাল, সকলেই গুণী অভিনেতা। এদের সঙ্গে কাজ করার একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ফ্লোরে প্রথমদিন এসেই দারুণ এনজয় করেছি।"

Advertisement

দেবেশ আরও বলেন, "দু'বছর পরে আমি আবার মেগাতে অভিনয় করলাম এবং সেটাও রামপ্রসাদের মাধ্যমে। এটি আমার অত্যন্ত প্রিয় চরিত্র এবং আজকের দিনে এই ভেদাভেদির সময়, দাঁড়িয়ে রামপ্রসাদ যে কথা বলে, আমাদের মানবিক ও ধর্মীয় উত্তরণের যে কথা বলে, সমস্ত ধর্মের ঊর্ধ্ব গিয়ে, সেই সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ুক মানুষের মনে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমার এই চরিত্রটি মানুষের ভাল লাগবে। সকলে অনুগ্রহ করে 'রামপ্রসাদ' দেখুন।"     

প্রসঙ্গত, বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে সকলের মন জয় করার পর, সাধক রামপ্রসাদ রূপে ছোট পর্দায় ফিরেছেন সব্যসাচী চৌধুরী। রামপ্রসাদের স্ত্রী সর্বাণী চরিত্রে অভিনয় করছেন সুস্মিলি আচার্য। এছাড়া মা কালী রূপে রয়েছেন পায়েল দে। সুরিন্দর ফিল্মসের ব্যানারে গত এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এই মেগা। 


 

Advertisement