scorecardresearch
 

Ritabhari Chakraborty: বিয়ের খবর সত্যি! স্বীকার করলেন ঋতাভরী

সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, তাঁর বিয়ের খবর সঠিক ছিল। সত্যি স্বীকার করার মতো মানসিক জোর তখন তাঁর ছিল না। ফলে সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বিয়ের আলোচনা এক লপ্তে বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এমন খবর কি আর বেশি দিন চাপা থাকে? বিয়ের খবরে সিলমোহর লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ যুবকের হৃদয় ভাঙলেন ঋতাভরী।

Advertisement
ঋতাভরী চক্রবর্তী ঋতাভরী চক্রবর্তী
হাইলাইটস
  • ঋতাভরী সাক্ষাৎকারে জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি দীর্ঘ দিন কাজ থেকে দূরে ছিলেন।
  • তাঁর রেকারেন্ট ডিপ্রেশন রয়েছে।
  • মনের চিকিৎসা করতে করতে কখন মনে ঘর করে ফেলেছেন তা বোঝা যায়নি

তাঁর বিয়ের খবর যে সত্যি ছিল শেষমেশ স্বীকার করেই নিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী ((Ritabhari Chakraborty)। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, তাঁর বিয়ের খবর সঠিক ছিল। সত্যি স্বীকার করার মতো মানসিক জোর তখন তাঁর ছিল না। ফলে সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বিয়ের আলোচনা এক লপ্তে বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এমন খবর কি আর বেশি দিন চাপা থাকে? বিয়ের খবরে সিলমোহর লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ যুবকের হৃদয় ভাঙলেন ঋতাভরী।

ঋতাভরী সাক্ষাৎকারে জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি দীর্ঘ দিন কাজ থেকে দূরে ছিলেন। একই সঙ্গে তাঁর রেকারেন্ট ডিপ্রেশন রয়েছে। সে কারণে ওয়র্ক আউট না করলে তিনি ক্রমাগত মানসিক বিষণন্নতার শিকার হন। সে সময় আলাপ হয় তাঁর হবু স্বামীর (তথাগত চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে। পেশায় একজন মনোবিদ। মনের চিকিৎসা করতে করতে কখন মনে ঘর করে ফেলেছেন তা বোঝা যায়নি। আর মনের মানুষ যখন মনে ধরা দিয়েছেন, তখন সম্পর্ক তো পরিণতির দিকে এগোবেই।

ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে তথাগত পেশায় মনোবিদ। তাঁদের আলাপ অবশ্য খুব বেশি দিনের নয়, মাস ছয়েকের। দু’জনেই সমাজ সেবার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত। একটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করতে গিয়েই তাঁদের আলাপ এবং ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক গভীরতা পায়। ঋতাভরী সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ হলেও তাঁর সম্পর্কের আঁচ কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় না। তাঁদের সম্পর্কের কথাও ইন্ডাস্ট্রির খুব কম মানুষই জানেন।

 

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

A post shared by Ritabhari Chakraborty (@ritabhari_chakraborty)

Advertisement

বিয়ের প্রস্তুতির পাশাপাশি কেরিয়ার নিয়েও জোরকদমে এগোচ্ছেন ঋতাভরী। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’র সাফল্যের পরে অঙ্কুশের সঙ্গে ‘এফআইআর’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী, যেটির শুটিং তিনি শেষ করেন অসুস্থ অবস্থাতেই। ‘থপ্পড়’খ্যাত অভিনেতা পাভেল গুলাটির সঙ্গে মিউজ়িক ভিডিয়ো ‘সাওন’ করেছেন ঋতাভরী।

করোনা-কালে ঋতাভরীকে নানা ভাবে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। কখনও দুঃস্থ প্রবীণদের করোনার টিকাকরণ করিয়েছএন। কখনও ডিপ্রেশন এবং অন্যান্য মনোরোগের সমাধানে হেল্পলাইন চালু করেছেন সাধারণের জন্য। 'দ্য আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডিফ' নামে সল্টলেকের একটি স্কুল চালান অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। এমনকি তাঁর সোশ্যাল পেজে উঁকি মারলেও দেখা যায় তাঁর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচীর ছবি ও ভিডিয়ো। কথায় বলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়! তাই 'রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও' যে কাজ করা যায়, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।

 

Advertisement