তাঁকে বং ক্রাশ বলা হয় সোশাল মিডিয়ায়। লক্ষ লক্ষ যুবকের হৃদয়ে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty). তবে এই খবরে সেই তামাম যুবকদের হৃদয় ভাঙতে চলেছে। টলি মহলে কান পাতলেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের শেষেই বাগদান পর্বে সেরে ফেলতে পারেন ঋতাভরী। বন্ধু তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অভিনেত্রী।
ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে তথাগত পেশায় মনোবিদ। তাঁদের আলাপ অবশ্য খুব বেশি দিনের নয়, মাস ছয়েকের। দু’জনেই সমাজসেবার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত। সোশ্যাল ওয়ার্ক করতে গিয়েই তাঁদের আলাপ এবং ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীরতা পায়। ঋতাভরী সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিভ হলেও তাঁর সম্পর্কের আঁচ কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় না। তাঁদের সম্পর্কের কথাও ইন্ডাস্ট্রির খুব কম মানুষই জানেন। তবে বিয়ে বা ব্যক্তিগত বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ অভিনেত্রী।
বিয়ের প্রস্তুতির পাশাপাশি কেরিয়ার নিয়েও জোরকদমে এগোচ্ছেন ঋতাভরী। ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’র সাফল্যের পরে অঙ্কুশের সঙ্গে ‘এফআইআর’ ছবিটিতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী, যেটির শুটিং তিনি শেষ করেন অসুস্থ অবস্থাতেই। ‘থপ্পড়’খ্যাত অভিনেতা পাভেল গুলাটির সঙ্গে মিউজ়িক ভিডিয়ো ‘সাওন’ করেছেন ঋতাভরী। অভিনেত্রী, গায়িকার পরে এ বার প্রযোজক ঋতাভরীকেও পেতে চলেছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি।
করোনা-কালে ঋতাভরীকে নানা ভাবে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। কখনও দুঃস্থ প্রবীণদের করোনার টিকাকরণ করিয়েছএন। কখনও ডিপ্রেশন এবং অন্যান্য মনোরোগের সমাধানে হেল্পলাইন চালু করেছেন সাধারণের জন্য। 'দ্য আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডিফ' নামে সল্টলেকের একটি স্কুল চালান অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। এমনকি তাঁর সোশ্যাল পেজে উঁকি মারলেও দেখা যায় তাঁর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচীর ছবি ও ভিডিয়ো। কথায় বলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়! তাই 'রাজনীতিতে যোগ না দিয়েও' যে কাজ করা যায়, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।