তারকাদের জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের বরাবর কৌতূহল অনেক বেশী। তাঁদের পছন্দ - অপছন্দ নিয়েও ফ্যানেদের মাঝে চর্চা কম হয় না। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চায় থাকে, তারকাদের ডেটিং, সম্পর্ক বা বিয়ে। সাংসদ - নায়িকা মিমি চক্রবর্তী, অনুরাগীদের জন্য প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন ছবি, ভিডিও, নানা মুহূর্ত, এমনকী সিক্রেটস। তবে নায়িকার সম্পর্ক বা বিয়ে নিয়ে দর্শক তথা অনুরাগীদের মধ্যে কম কৌতূহল নেই।
এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় বিয়ের মরসুম চলছে। একের পর এক বিয়ের খবর মিলেছে ২০২৩ সালে। বেশীরভাগ জনপ্রিয় টলি তারকাদের সম্পর্ক- বিয়ে নিয়ে নানা খবর শোনা যায়। এমনকী তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতেও পার্টনারের সঙ্গে নানা ছবি, ভিডিও শেয়ার করেন। তবে একমাত্র মিমি চক্রবর্তীর, এরকম কোনও খবর পাওয়া যায়নি বহু বছর ধরে। নেটমাধ্যম থেকে যে কোনও স্থানে নায়িকা গেলেই তাঁকে মুখোমুখি হতে হয় দুটো সাধারণ প্রশ্নের- 'কার সঙ্গে প্রেম করছেন'? 'বিয়ে কবে করছেন'?
'দিদি নম্বর ১'- মঞ্চ হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া, বারবার একই প্রশ্নের উত্তরে মিমি বলেছেন, উপযুক্ত পাত্র পেলে তবেই তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। এখনও তাঁর চোখে সেরকম কেউ পড়েনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে ফের মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই প্রশ্নের। প্রেম- বিয়ের প্রসঙ্গে সাংসদ- নায়িকা বলেন, " আমি এতটাই বোরিং যে, কী বলব। বিয়ে করার আগে ছেলে পেতে হবে। তার জন্য ডেট করতে হবে। দেখা করতে হবে, চারটে জায়গায় যেতে হবে। আমি কিছুই করি না। কাজ করি, বাড়ি ফিরি, বই পড়ি, ফোন স্ক্রল করি, তিন ছেলেপুলে (পোষ্য) নিয়ে এগজসটেড হয়ে যাই।"
মিমির চক্রবর্তীর বিপুল সংখ্যক অনুগামী রয়েছে। তবে তিনি যে শুধুই প্রশংসা পান, তা একেবারেই না। বডি শেমিং, কটাক্ষ, সর্বপরি নেতিবাচক মন্তব্যে ভরে যায় তাঁর কমেন্ট বক্স। তারকা বলে কি মন খারাপ হয় না? সে অভিমান, মন খারাপের কথাই কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন তিনি। কেউ বলেছেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি থাকার যোগ্য নন। আবার কেউ বলেছেন, তিনি মোটা, কোনও এক্স- ফ্যাক্টরই নেই। বর্তমানে যে জায়গায় পৌঁছেছেন মিমি, তার জন্যে কম পরিশ্রম করতে হয়নি।
মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজ চক্রবর্তীর সম্পর্ক কারও অজানা না। বিষয়টা টলি পাড়ায় অনেকটা 'ওপেন সিক্রেট'-র মতোই। পার্টি থেকে অ্যাওয়ার্ড শো একই সঙ্গে দেখা যেত জুটিকে। অনেকেই ভেবেছিলেন এই জুটির সম্পর্ক বহুদূর এগোবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি! টেকেনি তাঁদের সম্পর্ক। শোনা যায় বিরসা দাশগুপ্তের ছবির শ্যুটিংয়ে তুরস্কে গিয়েছিলেন মিমি। সেখানে এক বয়সে ছোট তুরস্কের ছেলের সঙ্গে ডেটিং শুরু করেন নায়িকা। আর তার জেরেই দু'জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। পরে ব্রেকআপ করেন টলিপাড়ার এই কাপল। যদিও এবিষয়ে কখনও মুখ খোলেননি দু'জনের কেউই।
রাজের পরিচালনায় 'বোঝে না সে বোঝে না', 'প্রলয়', 'যোদ্ধা:দ্য হোয়ারিয়র', 'কাটমুণ্ডু'-র মতো ছবিগুলিতে অভিনয় করেছেন মিমি। সম্পর্কে বিচ্ছেদের পর থেকে আর একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি তাঁদের। যদিও এরপর থেকে সম্পর্ক নিয়ে মিমির নাম কারও সঙ্গে খুব একটা জুড়তে শোনা যায়নি। বারবারই নিজেকে 'সিঙ্গেল' বলেই দাবী করেন সাংসদ- নায়িকা।
প্রসঙ্গত, পুজোয় মুক্তি পেয়েছে মিমি চক্রবর্তীর ছবি 'রক্তবীজ'। এই ছবিতে তিনি জুটি বাঁধেন আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ছবিটি যথেষ্ট প্রশংসিত। এবার ওয়েব দুনিয়ায় ডেবিউ করতে চলেছেন তিনি। ৫ জানুয়ারি হইচই-তে আসছে তাঁর অভিনীত প্রথম সিরিজ 'যাহা বলিব সত্য বলিব'।