scorecardresearch
 

এবার কলকাতা পুলিশের জালে ভুয়ো ED অফিসার

পদস্থ অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা, ব্ল্যাকমেল এর ঘটনায় নাম জুড়ল আরও এক ব্যক্তির। দমদমের বাসিন্দা চন্দন রায় নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেছে কয়েক বছরে। তাকে বৃহস্পতিবার এসপ্ল্য়ানেড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ

Advertisement
ভুয়ো অফিসার গ্রেফতার ভুয়ো অফিসার গ্রেফতার
হাইলাইটস
  • ফের জালে আরও এক ভুয়া অফিসার
  • এসপ্ল্যানেড থেকে গ্রেফতার, বাজেয়াপ্ত মোবাইল
  • সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার

ভুয়ো ইডি অফিসার

ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো আইএস, ভুয়ো পুলিশ, ভুয়ো সিআইডি অফিসারের পর এবার ভুয়ো এনফোর্সমেন্ট অফিসারের হদিশ মিলল কলকাতা পুলিশের তরফে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পদস্থ আধিকারিকা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার জাল বিছিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। এক সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই প্রতারককে।

দীর্ঘদিন ধরে চলছে প্রতারণা

গ্রেফতার করা হয়েছে দমদমের বাসিন্দা ওই প্রতারককে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এতদিন তার টিকির নাগালটিও কেউ পাননি। এমনকী বিভিন্ন থানায় অভিযোগ থাকলেও পুলিশও এনফোর্সমেন্টের প্রকৃত অফিসার মনে করে হাত দেয়নি। শেষমেষ সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামতেই বেরিয়ে এসেছে নকল অফিসারের আসল পরিচয়। ফলে তাকে গ্রেফতার করতে কোনও সমস্যা আর হয়নি পুলিশেরও।

এসপ্ল্যানেড থেকে গ্রেফতার

বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসতেই অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে, তেমনই একটি মামলায় পুলিশ স্টেশনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত নটা পনেরো নাগাদ অভিযুক্ত চন্দন রায়কে এসপ্ল্যানেড বাস টার্মিনাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখানেও কোনও চক্রান্তে জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখা হচ্ছে

যে মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে নিজেকে এনফোর্সমেন্ট অফিসার বলে পরিচয় দিত এবং সেই মোবাইলটি প্রতারণার ছক কষত সেই মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে, প্রাথমিক জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন লোককে তার ভুয়া পদের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা পয়সা তোলার চেষ্টা করত। অনেক সময়ই সে সফল হয়েছিল।

অভিযুক্ত দমদমের বাসিন্দা

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম চন্দন রায়। বাড়ি দমদমের গোরক্ষবাসী লেন এলাকায়। অভিযুক্ত নিজেকে শান্তনু মিত্র বলে পরিচয় দিত। সেই নামে ভুয়া প্লেট এবং পরিচয় পত্র ব্যবহার করত চন্দন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা গিয়েছে অভিযুক্ত চন্দন গোটা কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও তার প্রতারণার জাল বিছিয়ে ছিল।

Advertisement

অন্তরালেই অভিযোগকারী সাংসদ

তবে জানা গিয়েছে সাংসদের অভিযোগের ভিত্তিতে এ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ এই সাংসদ। তাঁর পরিচয় প্রকাশ্যে আনতেও অনীহা রয়েছে তাঁর।


 

Advertisement