নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সেনাবাহিনীতে সংস্কার নিয়ে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার 'অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্প' ঘোষণা করেন। রাজনাথ সিংয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিন বাহিনীর প্রধানরা অর্থাৎ সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারও উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনার এক প্রেজন্টেশন দিয়েছেন
তিন বাহিনীর প্রধানরা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই পরিকল্পনার একটি প্রেজন্টেশন দিয়েছেন। এই প্রকল্পের আওতায় অল্প সময়ের জন্য যুবকরা সেনাবাহিনীতে নিয়োগের সুযোগ পেতে পারবে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে অগ্নিপথ স্কিম। এর আওতায় তরুণরা চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করতে পারবে।
অগ্নিপথ স্কিমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে তরুণদের নিয়োগ করা হবে।
এই সময়ে অগ্নিবীররা আকর্ষণীয় বেতন পাবেন
চার বছর সেনাবাহিনীর চাকরির পর তরুণদের ভবিষ্যতে আরও সুযোগ দেওয়া হবে।
চাকরি করার পর আপনি সার্ভিস ফান্ড প্যাকেজ পাবেন।
এই স্কিমের অধীনে নিয়োগ করা বেশিরভাগ সৈন্য চার বছর পর মুক্তি পাবে। তবে কিছু জওয়ান তাদের চাকরি চালিয়ে যেতে পারবে।
সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছরের যুবকরা সুযোগ পাবে।
প্রশিক্ষণ ১০ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত হবে।
আরও পড়ুন: আসছে গুগল আর্কাইভড অ্যাপ, এবার স্টোরেজ নিয়ে চিন্তার দিন শেষ
আরও পড়ুন: বিয়ের প্রথম দিন থেকেই মহিলাদের এই ৮ ভুল নয়, নইলে পরে আফশোস
আরও পড়ুন: রুশ স্পেস স্টেশন ভাঙার 'হাড় হিম' Video! ভারতে ভেঙে পড়তে পারে?
চার বছর পর চাকরি থেকে সরে যেতে পারবেন জওয়ানরা
বলা হয়, এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প। যার মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যোগদানকারী সৈন্যদের গড় বয়স কমানোর চেষ্টা করা হবে এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যয়ও কমানো হবে।
আরও বলা হচ্ছে, এই প্রকল্পের আওতায় চার বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে যুবকদের (অগ্নিবীর) নিয়োগ করা হবে। তবে চার বছর পর বেশিরভাগ জওয়ানকে তাদের চাকরি থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
চার বছর পর সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত যুবকদের পেতেও সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রাখবে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে কেউ যদি সেনাবাহিনীতে চার বছর চাকরি করেন, তাহলে তাঁর প্রোফাইল বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। এবং প্রতিটি কোম্পানিই এই ধরনের যুবকদের নিয়োগে আগ্রহ দেখাবে।
এ ছাড়া ২৫ শতাংশ সৈনিক সেনাবাহিনীতে থাকতে পারবেন, যাঁরা দক্ষ ও যোগ্য হবেন। তবে এটা তখনই সম্ভব হবে যদি সে সময় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ হয়। এ প্রকল্পের কারণে সেনাবাহিনীরও কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে। একদিকে কম মানুষকে পেনশন দিতে হবে, অন্যদিকে বেতনেও সঞ্চয় হবে।