জীবন যে কত অনিশ্চিত তা ফের একবার দেখা গেল। রবিবার ছিল দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। আর এই উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তেমনই এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা আনোয়ার হুসেন। আর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধানবাদ (Dhanbad)-এর ঘটনা।
ধানবাদের চিরকুন্ডা শহিদ চকের ঘটনা
ধানবাদ (Dhanbad)-এর চিরকুন্ডা (Chirkunda) শহিদ চকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পতাকা তোলা হয়ে গিয়েছিল। এরপর অভিবাদন জানানোর কথা। আর তখনই সেই ঘটনা।
হৃদরোগে আক্রান্ত
সেখানে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। আর মাটিতে পড়ে যান তিনি। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে ততক্ষণে আর কিছু করার ছিল না। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি কংগ্রেস (Congress) -এর চিরকুন্ডা (Chirkunda) নগরের মন্ডল সভাপতি ছিলেন।
কেউ ভাবতে পারছেন না
এমন যে হতে পারে, কেউ কোনও দিন কল্পনা করতে পারেননি। আনোয়ার হুসেন কংগ্রেসের পুরনো কর্মী। চিরকুন্ডা (Chirkunda) শহিদ চকে টানা কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতার দিবসে জাতীয় পতাকা তোলেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তবে এবার এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তা কেউ ভাবেননি।
শোকের ছায়া
এই ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কেউ ভাবননি এটাই তাঁর শেষ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হবে। সবাই শোকে ভেঙে পড়েছেন। তাঁর মৃত্যুকে দল শহিদের মৃত্যু বলে ঘোষণা করেছে।
হেমন্ত সোরেনের বার্তা
এদিন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren) মোরহাবাদী ময়দানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। রাজ্য সরকার কী কী কাজ করেছে, তা জানান। নিজেদের কাজে অসাধারণ অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ২২ জন পুলিশকর্মীকে পুরস্কার দেন।
মহাসমারোহে পালন
দেশে মহাসমারোহে পালন করা হল স্বাধীনতা দিবস। এই উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কোথায় ক্রীড়ি প্রতিযোগিতা, আবার কোথাও রক্তদান শিবির, আলোচনাচক্র, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আসর ছিল। ছিল আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।