ফের জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)-এ আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ। ৩ জন আতঙ্কাবাদীকে মেরেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। তারা জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-E-Mohammed)-এর জঙ্গি। এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
অবন্তীপুরায় গোলাগুলি
জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)-এর নাগবেরন ত্রাল এলাকার জঙ্গলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আতঙ্কবাদীদের সংঘর্ষ হয়েছে। নিকেশ জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-E-Mohammed)-এর ৩ জঙ্গি। ওই এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। চলছে তল্লাশির কাজ। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার যৌথ অভিযানে খতম হয়েছে ৩ জঙ্গি।
খবর পেয়ে অভিযান
আগে থেকে খবর পাওয়ার পর সেখানে যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। আর তারপর ৩ জঙ্গিতে নিকেশ করে। অভিযানের পর সেখানে এখনও তল্লাশি চলছে।
এদিকে, দিন কয়েক আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিজেপি নেতার ওপর আতঙ্কবাদীরা হামলা চালিয়েছিল। তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। গুরুতর জখম হয়েছেন জসবীর সিং। ঘটনার আরও ৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
কী ঘটেছিল?
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরির খান্ডলি এলাকার ঘটনা। বিজেপি নেতা দসবীর সিংয়ের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার পর গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন জম্মুর এডিজিপি। হামলার ঘটনার পর তল্লাশি শুরু হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।
বিজেপি নেতাকে খুন করেছিল
মৃত ৩ জঙ্গির মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। তার নাম ওয়াকিল শাহ। সে বিজেপি নেতা রাকেশ পণ্ডিতকে খুন করেছিল। এদিন যৌথবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারের তার মৃত্যু হয়েছে।
আগেও বিজেপি নেতাদের ওপর হামলা
জম্মুতে এর আগেও বেশ কয়েক বার বিজেপি নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অগাস্ট মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে আতঙ্কবাদীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন বিজেপি নেতা গুলাম রসুল ডার এবং তাঁর স্ত্রী। গুলি করে তাঁদের খুন করা হয়। তিনি কুলগামের কিষান মোর্চার জেল সভাপতি এবং গ্রামের প্রধানও ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শোক
এই ঘটনায় লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা শোক প্রকাশ করেছিলেন। অনন্তনাগের লালচকে আতঙ্কবাদীরা গুলাম রসুল ডার আর তাঁর স্ত্রীকে গুলি করা হয়েছিল। তাঁরা গুরুতর জখম হয়েছিলেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।
২০২০ সালের ঘটনা
গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই মাসে বিজেপি নেতা ওয়াসিম বারি, তাঁর ভাই এবং বাবাকে গুলি করে খুন করেছিল আতঙ্কবাদীরা। এরপর ৪ আগস্ট ফের একই ঘটনা ঘটে। কুলগামে আরখন নোপুরায় বিজেপি নেতা এবং গ্রাম প্রধান আরিফ আহমেদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়।
ওই বছরেই ৬ অক্টোবর গান্দবরলে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানকার বিজেপি সহ-সভাপতি গুলাম কাদিরকে মেরে ফেলেছিল আতঙ্কবাদীরা। এরপর আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল বাদগামে। সেখানকার বিজেপি নেতা এবং বিডিসি সভাপতিকে আতঙ্কবাদী খুন করে।