scorecardresearch
 

Sevoke-Rangpo Railways: লাস্ট টানেলের কাজ শেষ, ট্রেনে সরাসরি সিকিম পৌঁছতে আর কতদিন?

Sevoke-Rangpo Railways: সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮ কিমি বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে, ইতিমধ্যে টানেল নির্মাণের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৬টি টানেলের খনন কার্য ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আরও কতগুলি খননের কাজ শেষ হওয়ার পথে।

Advertisement
লাস্ট টানেলের কাজ শেষ, ট্রেনে সরাসরি সিকিম পৌঁছতে আর কতদিন? লাস্ট টানেলের কাজ শেষ, ট্রেনে সরাসরি সিকিম পৌঁছতে আর কতদিন?
হাইলাইটস
  • শেষ টানেলের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে
  • ট্রেনে সরাসরি সিকিম পৌঁছনো সময়ের অপেক্ষা
  • ২০২৪ এর মধ্যেই চালুর পরিকল্পনা রেলপথের

Sevoke-Rangpo Railways: ২০২৪-এই দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে রেলপথে সিকিম (Sikkim) পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে। এমনই সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাছে সেবক রেলস্টেশন থেকে সিকিমের রংপো পর্যন্ত রেলপথ (West Bengal-Sikkim Rail) স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই রেলপথের বেশিরভাগটাই সুড়ঙ্গ পথে বা টানেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। মোট ১৪টি টানেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৪তম অর্থাৎ শেষ টানেল খোঁড়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে আগেই। এবার চলতি মে মাসেই। কংক্রিট লাইনিংয়ের কাজ শেষ হয়ে গেল।ফলে এখন রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হতে বেশি দেরি লাগবে না। 

আরও পড়ুনঃ সেবক-রংপো রেলপথ : বদলে যাবে বিস্তীর্ণ এলাকার অর্থনীতি

আরও পড়ুনঃ চিন সীমান্ত প্রতিরক্ষায় নজর, সেবক-রংপো রেলপথ পৌঁছবে নাথুলায়

এই রেলপথের গুরুত্ব অপরিসীম

এই রেলপথ স্থাপন হলে এই রিজিয়নে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে। প্রথমত এখানে পর্যটকদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে। মাত্রাছাড়া গাড়িভাড়ার জন্য অনেকে বিপাকে পড়েন। যেহেতু এখন বিকল্প কিছু নেই। রেলপথ স্থাপন হলে বিকল্প বন্দোবস্ত হবে। যা গাড়িভাড়াকেও নিয়ন্ত্রণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের এই রুটে পর্যটন নতুন মাত্রা পাবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ গোটা দেশ থেকে এই এলাকায় পৌঁছে যাবেন কম খরচে। দ্বিতীয়ত সামরিক ও প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে অনেক বেশি  নিরাপত্তা বন্দোবস্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। সিকিমের নাথুলায় (Nathula) তিব্বত (Tibet)  (চিন, China) সীমান্তে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। আপাতত সিকিম-বাংলা সীমান্তে রংপোতে স্টেশন তৈরি করে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও পরবর্তীতে গ্যাংটক (Gangtok) ও শেষমেষ নাথুলা সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে আপাতত সেবক-রংপো রেলপথ দ্রুত চালু করতে উদ্যোগী সরকার।

Advertisement
সেবক

কী বলছেন আধিকারিকরা

ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং আবির ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের একটি দল গত সপ্তাহে সিকিমের বাংলা সীমান্তের কাছে মাঝিটারের খানিখোলায় ১৪ নম্বর টানেলের কাজ শেষ করেছে। ১৯৭৭ মিটার দীর্ঘ এই সুড়ঙ্গটি ১৪টি সুড়ঙ্গের মধ্যে শেষ টানেল যা সেবক-রাংপো রেল প্রকল্প (এসআরআরপি) কে চিহ্নিত করবে। পাকিয়ং (Pakyong) জেলার রংপো সাবডিভিশনের সিকিম অংশে অবস্থিত টানেল-১৪-এর চূড়ান্ত কংক্রিট লাইনিং খতিয়ে দেখেন রেলওয়ে বোর্ডের অতিরিক্ত সদস্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর বি কে গুপ্তা এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রেলওয়ে, যোগাযোগ, বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও (Minister Ashwini Baishnav) এই টানেল পরিদর্শন করেন এবং সকলের কাজের প্রশংসা করেন। 

কাজ শেষের পথে

বি কে গুপ্তা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মানুষের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, কারণ এটি সিকিমকে রেলহেড দেবে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী যে আমরা লক্ষ্য পূরণ করতে পারব।এনএফ রেলওয়ে এবং ইরকন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।'' ইরকনের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই টানেলের খনির অগ্রগতির মাইলফলক অর্জিত হয়েছিল এবং এক বছরের মধ্যে চূড়ান্ত কংক্রিট আস্তরণের কাজ শেষ হওয়াকে এই প্রকল্পের সাথে জড়িত ইঞ্জিনিয়াররা একটি “বিস্ময়কর অর্জন” হিসাবে দাবি করেছেন।‘

সেবক রেলপথ

গোটা রেলপথের চালচিত্র

সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত এই নতুন রেল সংযোগী প্রকল্পটি প্রায় ৪৫ কিমি লম্বা এবং ১৪টি টানেল, ২২টি ব্রিজ ও পশ্চিমবঙ্গের তিস্তা বাজারে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন-সহ ৫টি স্টেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সমগ্র প্রকল্পটির প্রায় ৩৮ কিমি বিন্যাস টানেলের মাধ্যমে অতিক্রম হয়েছে, ইতিমধ্যে টানেল নির্মাণের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ৬টি টানেলের খনন কার্য ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আরও কতগুলি খননের কাজ শেষ হওয়ার পথে। অন্যান্য টানেলের ফাইনাল কংক্রিট লাইনিং-এর কাজও শুরু হয়েছে। ২০২৪-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে বর্তমানে টানেল, ব্রিজ ও স্টেশন নির্মাণ সম্পর্কিত সমস্ত কার্যকলাপ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চালানো হচ্ছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই হয়েছিল শিলান্যাস

প্রসঙ্গত এই রেলপথের পরিকল্পনা ও শিলান্যাস হয়েছিল ২০০৯ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী (Rail Minister) তথা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (West Bengal Chief Minister Mamta Banerjee) হাত ধরে। পরে তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলে এ নিয়ে আর কাজ এগোয়নি। দীর্ঘ বছর পর নতুন কেন্দ্রীয় সরকার গঠন হওয়ার পর ফের কাজ শুরু হয়েছে যা এখন শেষের পথে।

 

Advertisement