কংগ্রেস অধ্যক্ষ পদের ভোটের লড়াইয়ের জন্য মনোনয়নের আজ শুক্রবার শেষ দিন। এরই মধ্যে নির্বাচনে এখন মল্লিকার্জুন খাড়গের এন্ট্রি হয়েছে। বলা হচ্ছে তিনিও কংগ্রেস অধ্যক্ষ পদের জন্য লড়তে পারেন। বৃহস্পতিবার সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন মল্লিকার্জুন। তিনি কর্ণাটকের দলিত নেতা ও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের অত্যন্ত পছন্দের মুখ বলে মনে করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার সংসদ দিগ্বিজয় সিং এবং কেরলের সাংসদ শশী থারুর নিজের মনোনয়ন দাখিল করবেন। এছাড়া মুকুল বাসনিক, কুমারী শৈলজার নামও দাখিল করা হতে পারে। মনোনয়ন ফেরত নেওয়ার শেষ তারিখ ৮ অক্টোবর।
অশোক গেহলট দৌড় থেকে বাইরে
গত কদিনে অশোক গেহলটকে নিয়ে চর্চা হচ্ছিল। কিন্তু এখন অশোক গেহলট নিজে সভাপতি পদে লড়াই করতে অস্বীকার করার পরে, কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচন আকর্ষণীয় হয়ে গিয়েছে। রাজ্যসভার সাংসদ দিগ্বিজয় সিং এবং কেরালার সাংসদ শশী থারুর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং উভয় নেতাই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে, মল্লিকার্জুন খাড়গেও দেখা করেছেন সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে গেহলটের বদলে খড়গে হাইকমান্ডের পছন্দ। তিনি সভাপতি হতে পারেন বলে আলোচনা চলছে।
দিগ্বিজয় সিং-ও লড়াইয়ে
দিগ্বিজয় সিংও নিজে এই সভাপতির লড়াইয়ে নামার কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন তিনি নিজেই সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুক্রবার তিনি মনোনয়ন তুলবেন।
শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এমন পরিস্থিতিতে দিগ্বিজয় ও থারুর ছাড়াও মুকুল বাসনিক ও কুমারী শৈলজাও নির্বাচনে লড়ছেন বলে তুমুল আলোচনা চলছে। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিকে সকলের নজর। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, গেহলট সরে যাওয়ার পর কংগ্রেস নেতৃত্বের পছন্দের প্রার্থী কে হবেন?
খাড়গে নির্বাচনের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী
অশোক গেহলটের নাম বাদ দেওয়ার পরে, কংগ্রেস সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কেবল দিগ্বিজয় সিং এবং শশী থারুরই বাকি রয়েছে। কিন্তু, দলের নেতারা যেভাবে কংগ্রেসের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন, তাতে মনে হচ্ছে গান্ধী পরিবারের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে এখনও দ্বিধা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন মালিকার্জুন খাড়গে, বলা হচ্ছে তিনি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়বেন। তবে তাঁর প্রতি শীর্ষ নেতৃত্ব তথা সনিয়া গান্ধীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শশী থারুরও রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
একই সময়ে, কেরালার তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ, ৬৬ বছরের শশী থারুরও কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য লড়াইয়ে রয়েছেন। থারুরের জন্ম ১৯৫৬ সালের ৯ মার্চ লন্ডনে। তার পরিবার মূলত কেরালার পালাক্কাদ থেকে এসেছে। শশী বুদ্ধিমান ও ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত। এর পাশাপাশি, তিনি একজন ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব এবং একজন সাবলীল নেতা হিসাবেও নিজের ছাপ তৈরি করেছেন। থারুর উচ্চবর্ণের নায়ার সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।
জি-২৩ সক্রিয় কংগ্রেস সভাপতি সম্পর্কে
কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের উত্তেজনার মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন জি-২৩-এর নেতারা। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার বাড়িতে জি-২৩ গোষ্ঠীর একটি বৈঠক হয়। মনীশ তিওয়ারি, পৃথ্বীরাজ চৌহান, ভূপেন্দ্র সিং হুডা সহ কংগ্রেস জি-২৩ শিবিরের অনেক বড় নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠক থেকে, জল্পনা করা হচ্ছে যে জি-২৩ এর কোনও নেতাও সভাপতি পদ দাবি করতে পারেন।