scorecardresearch
 

Kalipujo 2024: কালীপুজোর রাতে জাগে জঙ্গল, অরণ্যের মাঝে দেবী চৌধুরানী মন্দিরে পুজো রোমাঞ্চকর

Kalipujo 2024: জলপাইগুড়ি জেলার চা-বাগান ও জঙ্গলঘেরা ছোট্ট গ্রাম শিকারপুর। সেখানে ইতিহাস আর মিথে ঘেরা দেবী চৌধুরানী মন্দির। ইতিহাস এবং কিংবদন্তি মিলেমিশে একাকার এই মন্দিরে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয়দের মতে এ দেবী চৌধুরানী, সেই দেবী চৌধুরানীই।

Advertisement
কালীপুজোর রাতে জাগে জঙ্গল, অরণ্যের মাঝে দেবী চৌধুরানী মন্দিরে পুজো রোমাঞ্চকর কালীপুজোর রাতে জাগে জঙ্গল, অরণ্যের মাঝে দেবী চৌধুরানী মন্দিরে পুজো রোমাঞ্চকর
হাইলাইটস
  • ইতিহাস-মিথ- ভক্তি নিয়ে হয় পুজো
  • দেবী চৌধুরানী মন্দির এখনও বিস্ময়

Kalipujo 2024: গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে পাশাপাশি দুটি মন্দির। তার মধ্যে একটি মা কালীর মন্দির। মন্দিরের পাশে যে মন্দিরটি রয়েছে, তাতে একটি পুরুষ ও নারী মূর্তি রয়েছে। পাশাপাশি বাঘ, শিয়াল ও আরও কিছু বিগ্রহ আছে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন এটি শিব-পার্বতীর মন্দির। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, বিগ্রহটি ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর। মূলত দেবী চৌধুরানীর মন্দিরের খ্যাতিতেই দেশ বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পর্যটকদের কাছে এটি বাড়তি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

জলপাইগুড়ি জেলার চা-বাগান ও জঙ্গলঘেরা ছোট্ট গ্রাম শিকারপুর। সেখানে ইতিহাস আর মিথে ঘেরা দেবী চৌধুরানী মন্দির। ইতিহাস এবং কিংবদন্তি মিলেমিশে একাকার এই মন্দিরে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয়দের মতে এ দেবী চৌধুরানী, সেই দেবী চৌধুরানীই। এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাদুঘরে একটি বজরা সংরক্ষণ করা রয়েছে। এটি দেবী চৌধুরানীর বজরা বলেই প্রচারিত। যদিও সেটা নিশ্চিত করেননি গবেষকরা, তাতে ভক্তদের কিছু যায় আসে না।

ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানী
ভবানী পাঠক, দেবী চৌধুরানী, নাম দুটো বাঙালির কাছে ইতিহাসের চেয়েও বেশি। কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা জনশ্রুতি। কিছুটা লেখনীর গুনে জীবন্ত হয়ে ওঠা দুটি চরিত্র। কয়েকশো বছর ধরেই বাঙালির মনে গেঁথে রয়েছে। বিখ্যাত উপন্যাস আনন্দমঠ এর চরিত্র হওয়ার কারণে মানুষের কাছে আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। পড়তে পড়তে কখন সত্যি-মিথ্যা, কিংবদন্তি, আসল-নকল মিলেমিশে এক হয়ে কালোত্তীর্ণ হয়ে যায়, তা সাধারণ বোধের বাইরে চলে যায়, তাদের নামে যখন মন্দির, তখন তার সঙ্গে যে কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা মিথ জড়িয়ে থাকবে তা আশ্চর্য কি?

আরও পড়ুন

মন্দিরের কালীপুজোও জাগ্রত
তবে এখানকার কালীমন্দিরও কিন্তু সমধিক জাগ্রত ও পূজিত। এই মন্দিরে প্রতি বছর দুবার নিয়ম করে কালীপুজো হয়। একবার আষাঢ় মাসে, আরেকবার কার্তিক মাসে। খুব বড় না হলেও, নিয়ম নিষ্ঠায় ঘাটতি থাকে না। বরং এখানকার কালীপূজার আলাদা আস্বাদ রয়েছে। যেটা এখনও সম্পূর্ণ চলে যায়নি। যেহেতু চারিদিকে ঝোপ জঙ্গলে ভরা, এই মন্দির, তাই আধুনিকতার ভিড়ে এখনও পর্যন্ত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি কংক্রিটের জঙ্গল। তাই শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ রাতে গাড়ি নিয়ে গিয়ে সারারাত জেগে এই পুজো দেখতে যান। পুজো দেখাও হয় পাশাপাশি কিছুটা অ্যাডভেঞ্চারও হয়।

Advertisement

 

Advertisement