Akshaya Tritya 2022 : অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো ও কেনাকাটার সবচেয়ে শুভ মুহূর্তটি ঠিক কখন?

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব 3 মে, 2022 অর্থাৎ মঙ্গলবার পালিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মে অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসবের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে সোনা ও রুপো কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। 

প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিকে অক্ষয় তৃতীয়া বলা হয়। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। শাস্ত্র মতে এই দিনে ভগবান পরশুরামেরও জন্ম হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে চলুন জেনে নেওয়া যাক অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ সময় ও পূজার পদ্ধতি।

অক্ষয় তৃতীয়া মুহুর্ত (Akshaya Tritiya 2022 Muhurat)
3 মে, 2022 মঙ্গলবার অক্ষয় তৃতীয়া
অক্ষয় তৃতীয়া পূজা মুহুর্ত - সকাল 05:59 থেকে বেলা 12.26 পর্যন্ত
সময়কাল - 06 ঘন্টা 27 মিনিট
তৃতীয়া তারিখ শুরু হয় - 03 মে, 2022 সকাল 05:18 থেকে তৃতীয়া তারিখ শেষ হয় - 04 মে, 2022 সকাল 07:32 পর্যন্ত

আরও পড়ুন: এবার উল্টে দিকে হাঁটুন! শরীর-মন হয়ে উঠবে ফুরফুরে, জবরদস্ত ফায়দা

আরও পড়ুন: যেন সিনেমার দৃশ্য! ক্রেতা সেজে বেআইনি হুক্কা বারে অভিযানে পুলিশ, ধৃত ৫

আরও পড়ুন: আকাদেমি প্রাঙ্গনে বুধবার থেকে শুরু লিটল ম্য়াগাজিন মেলা

অক্ষয় তৃতীয়ায় কেনাকাটা (Akshaya Tritiya 2022 Shopping Shubh Muhurat)
3 মে 2022 এর সকাল 05:59 থেকে 4 মে 2022 এর সকাল 05:38 পর্যন্ত।

অক্ষয় তৃতীয়া পুজা পদ্ধতি (Akshaya Tritiya 2022 Pujan Vidhi)
যে ব্যক্তি এই দিনে ব্রত পালন করেন, তাঁর উচিত সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নানের পর হলুদ কাপড় পরিধান করা।

এখন ঘরে বিষ্ণুর মূর্তিকে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করান এবং তুলসী, হলুদ ফুলের মালা বা শুধুমাত্র হলুদ ফুল অর্পণ করুন।

এরপর ধূপ ও ঘি জ্বালিয়ে একটি হলুদ আসনে বসুন।

এছাড়াও বিষ্ণু সহস্রনাম, বিষ্ণু চালিসা প্রভৃতি বিষ্ণু সম্পর্কিত গ্রন্থ পাঠ করুন।

শেষে ভগবান বিষ্ণুর আরতি করুন।

এর সঙ্গে যদি উপাসক কোনও অভাবী ব্যক্তিকে দান বা খাবার সরবরাহ করতে পারেন, তবে তা খুব ভাল বলে বিবেচিত হয়।

অক্ষয় তৃতীয়ার কথা (Akshaya Tritiya 2022 Vrat Katha)
পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, যুধিষ্ঠিরকে অক্ষয় তৃতীয়ার গুরুত্ব বলার সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন যে এটি সবচেয়ে শুভ তিথি। এই দিনে স্নান, দান, তপস্যা হোম এবং তর্পণ করলে ব্যক্তি অক্ষয় পুণ্য লাভ করে।

এ নিয়ে আরও কটি গল্প প্রচলিত আছে- প্রাচীনকালে এক দরিদ্র, গুণী ও দেবতাদের শ্রদ্ধেয় বৈশ্য বাস করতেন। গরিব হওয়ায় খুব মন খারাপ করতেন। কেউ তাকে এই রোজা পালনের উপদেশ দিয়েছেন। 

এই উৎসবের আগমনে তিনি গঙ্গায় স্নান করেন এবং পদ্ধতিগতভাবে দেবতাদের পুজো করেন এবং দান করেন। এই বৈশ্যই পরের জন্মে কুশাবতীর রাজা হন। অক্ষয় তৃতীয়ায় পূজা ও দানের প্রভাবে তিনি অত্যন্ত ধনী ও মহিমান্বিত হয়েছিলেন। অক্ষয় তৃতীয়ার একটি পুণ্য প্রভাব ছিল।