Madhyamik Examination 2022: মাধ্যমিক অ্যাডমিট কার্ড (Madhyamik Examination Admit Card) না পাওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা পরীক্ষার্থীর। ডায়মন্ড হারবারের ঘটনা। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC All India General Secretary, MP Abhishek Banerjee)-এর হস্তক্ষেপে মিলল পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ। ওই পড়ুয়ার নাম মির্জানা খাতুন।
আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Examination 2022)। প্রত্যেক পড়ুয়ার কাছে এটি জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষার। আর সেই জীবনের বড় পরীক্ষা দিতে না পারার আশঙ্কায় রবিবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরিবারের তৎপরতায় অবশ্য প্রাণ বাঁচে মির্জানা খাতুনের।
স্কুলের গাফিলতির অভিযোগ
স্কুলের গাফিলতির জেরেই অ্যাডমিট কার্ড (Madhyamik Examination Admit Card) সে পায়নি বলেই অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হতেই ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুনকুমার দে বিষয়টি জানান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC All India General Secretary, MP Abhishek Banerjee)-কে। শেষ পর্যন্ত তাঁর তৎপরতায় রবিবার রাতেই মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড (Madhyamik Examination Admit Card) হাতে পায় মির্জানা। পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ মেলায় যথেষ্ট খুশি সে এবং তার পরিবার।
আরও পড়ুন: সেচের জল থেকে ধানে যাচ্ছে আর্সেনিক, ভাত কতটা নিরাপদ?
আসেনি অ্য়াডমিট কার্ড
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের বাসুলডাঙ্গা এলাকার এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মির্জানা খাতুন। সে ডায়মন্ড হারবার গার্লস স্কুলের ছাত্রী। স্কুলের সমস্ত কিছু পরীক্ষা দিলেও মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট (Madhyamik Examination Admit Card) স্কুলে আনতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জানাযন, তার অ্যাডমিট আসেনি। কারণ হিসেবে জানায় সে নাকি ফর্মে সই করেনি।
এরপর থেকে বার বার স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও সাহায্য সহযোগিতা করেনি স্কুল। অন্যদিকে, ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে মুচলেখা লিখে নেওয়া হয় স্কুলের তরফে। পাশাপাশি জানানো হয় এই বিষয়টি কাউকে না জানানোর।
আর সেই মানসিক অবসাদে রবিবার ভোরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল ওই ছাত্রী। তার দাবি, কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে জানাল না তার সই হয়নি কেন, অ্যাডমিট (Madhyamik Examination Admit Card) না পাওয়ায় বারেবারে যোগাযোগ করলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ?
হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে মির্জানার বাবা ছোট মণ্ডল রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মা সেরিনা মণ্ডল গৃহবধূ। অত্যন্ত কষ্ট করে মেয়ের লেখাপড়া খরচ চালান বাবা। মেয়ের ইচ্ছে ছিল মাধ্যমিকের পর পড়াশোনা করে আরও এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেই ইচ্ছা বা স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার জোগাড় এক নিমেষেই।
মানসিক অবসাদে তাই মৃত্যুর মত পথ বেছে নিয়েছিল ওই ছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হতেই পর ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুনকুমার দে ছাত্রীর বাড়িতে যান। পরে বিষয়টি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC All India General Secretary, MP Abhishek Banerjee)-কে জানান। এরপরই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC All India General Secretary, MP Abhishek Banerjee) শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে ওই ছাত্রী অ্যাডমিট পাবে, সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরেই শুরু হয় তৎপরতা।
খুশি সেই ছাত্রী
রবিবার রাতেই ডায়মন্ড হারবারের বাসুলডাঙার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে তার হাতে অ্যাডমিট কার্ড তুলে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো মহকুমাশাসক ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের উপস্থিতিতে অ্যাডমিট কার্ড রাতেই ছাত্রীর হাতে তুলে দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মানসী মণ্ডল। পরীক্ষার অনুমতি পত্র পেয়ে বেজায় খুশি বাসুলডাঙার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মির্জানা খাতুন।