বলিউডের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও নেমে পড়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। হিমাচলে জমিয়ে ভোটের প্রচার সারছেন অভিনেত্রী। নিজেকে মান্ডিকন্যা বলেই জনসংযোগ সারছেন কঙ্গনা এলাকাবাসীর সঙ্গে। আর এরই মাঝে কঙ্গনা দেখা করার সুযোগ পেলেন তিব্বতী বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দলাই লামার সঙ্গে। হিমাচল প্রদেশের ধরমশালাতে গিয়ে কঙ্গনা দেখা করেন এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, তাঁর জীবনের সবচেয়ে মনে রাখার মতো মুহূর্ত।
দলাই লামার সঙ্গে কঙ্গনা ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, আমি খুবই ভাগ্যবতী। দলাই লামা লামার দর্শন পেলাম। আমার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন এটা। দলাই লামা জানালেন, তিনি হিমাচলকে ভালোবাসেন। ভারতকে ভালোবাসেন। সত্য়িই আমি গর্বিত। দলাই লামার সঙ্গে দেখা করার পর কঙ্গনা এএনআইকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে দারুণ এক অভিজ্ঞতা যা তিনি তাঁর গোটা জীবনে ভুলবেন না। প্রসঙ্গত, এর আগে মান্ডির এক জনসভায় কঙ্গনা রানাওয়াত হিমাচল প্রদেশের মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংকে তাঁকে বিতর্কের রানি বলে অ্যাখা দেওয়ায় কটাক্ষ করেন।
ভোটের ময়দানে নামার পর কঙ্গনা এখন রোজই ভোটপ্রচারে ব্যস্ত থাকছেন। মাইক হাতে মান্ডির নানান জায়গায় অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে বক্তব্য রাখতে। শুক্রবার এমনই এক সভা থেকে নারীশক্তি নিয়ে রীতিমতো হুঙ্কার ছাড়লেন কঙ্গনা। কঙ্গনার কথায়, ”এই লড়াই শুধু আমার নয়। এই লড়াই আমাদের সবার। এই লড়াই নারী সম্মানের লড়াই। এই লড়াই হিমাচলের সম্মানের। আর এই লড়াই আমরা জিতবই।” কঙ্গনার এই জনসভায় একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়। যেখানে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথের ‘বেশ্যা’ মন্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে মহাভারতের দ্রৌপদীর একটি সংলাপ শোনা যায়। কঙ্গনাও যে দ্রৌপদীর মতোই নারীশক্তির প্রতীক, তা যেন এই ভিডিওতে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
বেশ কিছু বছর ধরে কঙ্গনা দর্শকদের কোনও হিট ছবি উপহার দিতে পারেননি। একের পর এক ছবি ফ্লপ হয়েছে তাঁর। উপরন্তু কঙ্গনার তির্যক বাণী মাঝে-মধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি করে। বলিউড হোক কিংবা দেশের রাজনীতি, নানা বিতর্কে মুখ খুলে কঙ্গনার অপর নাম বিতর্ক ‘ক্যুইন’। ঠিক এই সময় থেকেই নিন্দুকরা লক্ষ্য করেছেন, নানাভাবে গেরুয়া শিবিরের নজর কাড়তে কঙ্গনা একেবারে তটস্থ। মাঝে কঙ্গনার বিয়ে নিয়েও জল্পনা-কল্পনা চলছিল। তবে সম্পর্কে থাকলও এখনই বিয়ে নয়, বরং রাজনীতির স্বাদটাই চাখতে চাইছেন ক্যুইন অভিনেত্রী।