স্বাধীনতার পরে বাংলায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে তৃণমূলের আমলে। এবারের ভোট বাংলায় এমন অভিযোগ শানাচ্ছেন বিজেপির ছোট-বড় নেতারা। যার নিশানা করা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যে বালি, কয়লা বা গুরু পাচারের মত ঘটনা ঘটছে 'ভাইপো'র ইশারাতেই। এমনটাই দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার তার এক কাঠি উপর দিয়ে গেলেন রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন রায়চৌধুরী। অধীর দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চলছে রাজ্যে চোরাচালানের কারবার।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য পিসি এবং ভাইপো দুইজনেই সবরকম চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। কয়লা, বালি, গরু পাচারের ঘটনা ঘটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই। অধীরের কথায়, 'তিনি এটা জানতেন না এটা হতে পারে কি? আমি নিশ্চিত তিনি পুরো বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। চোরাতালানের মত ঘটনা মানি ব্যাগে ঘটে না। এর নির্দিষ্ট একটা ট্র্যাক রয়েছে। '
সনিয়াকে মমতার চিঠি নিয়ে অধীর
নন্দীগ্রামে ভোটের মুখে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মমতা। সেই নিয়েও এদিন মন্তব্য করেছেন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইলে তৃণমূলনেত্রীর সব প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত এবং কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করা উচিত। কারণ দিদি খুব ভাল করে বুঝতে পারছেন একমাত্র কংগ্রেসই বিজেপির বিপক্ষে লড়তে পারে সেই কারণেই মমতা সনিয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন। এরপরেই অধীরের বক্তব্য, যদি বিজেপিকে রাজ্য থেকে হঠানোর ব্যাপারে মমতা সিরিয়াস হন তবে মুর্শিদাবাদে প্রচারে আসার আগে তাঁর দলীয় প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত।
অভিষেকের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর অভিযোগ
রাজ্যে চোরাচালান যখন মমতা নির্দেশই চলছে বলে অভিযোগ করছেন অধীর চৌধুরী তখন একটি অডিও টেপ প্রকাশ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে মারাত্মক অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই কয়লা-গরু পাচার নিয়ে বোমা ফাটান তিনি। শুভেন্দু বলেন, গনেশ বাগারিয়া ও বিনয় মিশ্রের কথোপকথনের একটি অডিও টেপ প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানেই বাংলার সবচেয়ে বড় দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে। বিজেপির তরফে এদিন দাবি, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ‘ভাইপো’র কাছে সরাসরি ৯০০ কোটি টাকা পৌঁছে দিয়েছে একটা বড় চক্র। ‘ব্যানার্জি পরিবার দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলেও এদিন দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, কয়লা এবং গরু পাচারের ৯০০ কোটি টাকা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা বিনয় মিশ্র এবং পুলিশের একাংশ।