scorecardresearch
 

"কাট মানি না পেলে হিংসা, প্রাণ যাচ্ছে প্রতিবাদীদের", তৃণমূলকে আক্রমণ অধীরের

"পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) গ্রামে গঞ্জে লুঠতরাজ চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কাট মানি না পেলে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। আর মানুষ প্রতিবাদ করলেই শাসকের হিংসার শিকার হচ্ছেন। প্রাণ যাচ্ছে প্রতিবাদীদের।" বাংলার আবাস যোজনায় (Banglar Awas Yojana) নাম ওঠার পর তৃণমূলের বুথ সভাপতির চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগের ঘটনায় এই মন্তব্যই করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)।

Advertisement
অধীর রঞ্জন চৌধুরী অধীর রঞ্জন চৌধুরী
হাইলাইটস
  • 'কাট মানি' নিয়ে তৃণমূলকে তোপ অধীরের
  • "কাট মানি না পেলে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে"
  • তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

"পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) গ্রামে গঞ্জে লুঠতরাজ চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কাট মানি না পেলে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। আর মানুষ প্রতিবাদ করলেই শাসকের হিংসার শিকার হচ্ছেন। প্রাণ যাচ্ছে প্রতিবাদীদের।" বাংলার আবাস যোজনায় (Banglar Awas Yojana) নাম ওঠার পর তৃণমূলের বুথ সভাপতির চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগের ঘটনায় এই মন্তব্যই করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। প্রসঙ্গত বাংলার আবাস যোজনায় নাম ওঠার পর তৃণমূলের বুথ সভাপতির চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার হারোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলনগর গ্রামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। নিহত ব্যক্তির নাম সেলিম শেখ।

ঘটনার সূত্রপাত কয়েক দিন আগে। সম্প্রতি বাংলার আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হয়। তালিকায় নাম ছিল গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা সেলিম শেখ ও তাঁর মায়ের। অভিযোগ, এরপরেই তাঁদের থেকে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি বাণী ইসরাইল। দাবি মতো ৩০ হাজার টাকা দিয়েও দেয় সেলিমের পরিবার। বাকি ছিল ১০ হাজার টাকা। সেই টাকা দেওয়ার দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে ওই বুথ সভাপতি। অভিযোগ, এরপর গত ১১ তারিখ হটাৎই সেলিম শেখের ওপর হামলা চালায় জনা ছয়েক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় সেলিমকে প্রথমে জঙ্গিপুর, তারপর বহরমপুর এবং শেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মারা যান সেলিম। 

ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ওই বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত এর আগেও বিভিন্ন সময় তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে 'কাট মান' নেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে একসময় কঠোর পদক্ষেপ পর্যন্ত করতে হয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এবারও ফের সেই একই ধরনের অভিযোগ। নির্বাচনের আগে ফের একবার 'কাট মানি' সংক্রান্ত অভিযোগ জনমানসে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে খারাপ করতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

Advertisement

 

Advertisement