scorecardresearch
 

'লক্ষ্য সোনার বাংলা', ২ তারিখ থেকে নামছে BJP-র ৪০ দল

২ জানুয়ারি থেকে 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' (Lakshya Sonar Bangla) কর্মসূচি শুরু করছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাবে বিজেপি। পাশাপাশি মানুষের পরামর্শও নেওয়া হবে।

Advertisement
'লক্ষ্য সোনার বাংলা' কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল বিজেপি। রয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত, অণির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়, রন্তিদেব সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি চৌধুরি। বুধবার কলকাতায় 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' কর্মসূচির কথা ঘোষণা করল বিজেপি। রয়েছেন স্বপন দাশগুপ্ত, অণির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়, রন্তিদেব সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি চৌধুরি। বুধবার কলকাতায়
হাইলাইটস
  • ২ জানুয়ারি থেকে 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' কর্মসূচি শুরু করছে রাজ্য বিজেপি
  • সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাবে বিজেপি
  • পাশাপাশি মানুষের পরামর্শও নেওয়া হবে

২ জানুয়ারি থেকে 'লক্ষ্য সোনার বাংলা' (Lakshya Sonar Bangla) কর্মসূচি শুরু করছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাবে বিজেপি। পাশাপাশি মানুষের পরামর্শও নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার দলের হেস্টিংস অফিসে এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, অণির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়, রন্তিদেব সেনগুপ্ত এবং সপ্তর্ষি চৌধুরি। ওই কর্মসূচির ব্য়াপারে বিস্তারিত জানান হয়। প্রকাশ করা হয়ে লোগো-ও।

বিজেপি জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্যের উন্নয়ন। ৩০-৪০ টি দল যাবে, মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। ২৯৪ বিধানসভায় তারা যাবে। শুরু হবে ২ জানুয়ারি থেকে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই কাজ সেরে ফেলা হবে। 

৫০ জনের দলে থাকবেন পেশাদার, শিক্ষাবিদরা। রাজ্য়এর জন্য দীর্ঘমেয়াদী কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে। ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। কী ধরনের বাংলা চান, মানুষের কাছ থেকে সেটা শুনবেন। ২ থেকে ২০ জানুয়ারি বিভিন্ন জোনে কনক্লেভ, জেলার বিশেষত্ব কী, মাসের শেষে কলকাতায় একটি কনক্লেভ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। মানুষের কাছে ইতিবাচক অ্যাজন্ডা ঠিক করব।

বিজেপি বলেছে, গত ৫০ বছরে কী পেলাম, কী দিলাম, দেশের উত্থানে মানুষকে করব, তাদের থেকে জানতে চাইব, জেলা,কেন্দ্র , তারা কি ভাবছে জানতে চাইব।

এদিন দল জনিয়েছে, সাংস্কৃতিক, আধ্য়াত্মিক এতিহ্য, সোনার বাংলা আবার আমরা গড়তে চাই। বিকাশের অসামঞ্জস্য রয়েছে। রাজ্য়ের অর্থমন্ত্রীকে দেখাই যায় না!

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসে রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছিলেন তিনি রাজ্যবাসীর কাছে আর্জি জানিয়ে ছিলেন বিজেপিকে শাসনক্ষমতায় আনুন তাহলে বাংলাকে শোনাও। সোনার বাংলা গড়ে তোলা হবে বাংলার উন্নয়ন করা হবে।

এর আগে বিজেপি তৃণমূলের ফেল কার্ড প্রকাশ করেছিল। রাজ্যের কোনও উন্নয়ন হয়নি। বিভিন্ন তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে সেই দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

ওই রিপোর্ট বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শিল্প, শিক্ষা, আর্থিক উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, প্রশাসনিক কাজকর্ম, স্বাস্থ্য- এই সব বিষয়ে তৃণমূল কোথায় কোথায় ব্যর্থ হয়েছে তা, দেখানো হয়েছে দাবি করছে দল।

আর্থিক উন্নয়ন
সেখানে বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূল রাজ্যের আর্থিক উন্নতি নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছে। তৃণমূল দাবি করেছিল, জন প্রতি আয় দ্বিগুণের থেকে বেশি হয়েছে তাদের সময়ে। কিন্তু বিজেপির পাল্টা দাবি, এটা ভুল তথ্য এবং ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তাদের খারাপ কাজ ঢাকতেই ভুল পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তারা। বিজেপি দাবি করেছে, এই ক্ষেত্রে ৩২টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জায়গা ২২তম। 

শিল্পে বিনিয়োগ
রাজ্যে শিল্প বিনিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল, এমনই দাবি করেছে বিজেপি। তারা বলছে ২০১১ সালে রাজ্যে এফডিআই বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ছিল দেশের এক শতাংশ। ২০২০ সালেও সেই একই পরিস্থিতি রয়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও কড়া আক্রমণ করা হয়েছে। সেখানে তারা বলছে ২০১৮ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, রাজ্যে খুন হওয়ার ঘটনায় দেশের মধ্যে চতুর্থ। খুনের চেষ্টা হয়েছে, এমন ঘটনা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি এ রাজ্যে। তৃণমূলের ভোট ব্যাংক বাঁচানোর জন্য জঙ্গি সংগঠন বেড়ে উঠেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মাওবাদী সমস্যাও।

Advertisement