এক্ষুনি রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি প্রয়োজন, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের উপর হামলা নিয়ে এভাবেই সরব হলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন সাংবাদিকদের তিনি বললেন, বিনা প্ররোচনায় কনভয়ের উপর হামলা হয়েছে। বুলেটপ্রুফ গাড়ি না থাকলে জেপি নাড্ডার জীবনসংশয়ও হতে পারত।
কী বললেন মুকুল রায়
বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, কাল বিনা প্ররোচনায় আমাদের উপর হামলা হয়েছে। বাংলায় আইনের শাসন নেই। গতকালের হামলায় কৈলাজ বিজয়বর্গীয়র হাতের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। আমার হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বুলেটপ্রুফ গাড়িতে না গেলে জেপি নাড্ডার জীবনসংশয় হতে পারত। আমাদের অনেক কর্মী জখম হয়েছেন। বাংলা সম্পূর্ণ আইনের শাসনের বাইরে। রাজ্য পুলিশ কোথাও নজর আসেনি। এতো মিথ্যাবাদী সরকার আমার রাজনৈতিক জীবনে দেখিনি। রাজ্যপাল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যপাল এক্তিয়াারে থেকেই কাজ করেছেন। যে রিপোর্ট গেছে ওটা সিস্টেম মেনেই গেছে। আইনের শাসনের জন্য বাংলায় এক্ষুনি ৩৫৬ ধারা জারি করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন, নাড্ডার কনভয়ে হামলা, রাজ্যে তিন FIR-এর ভিত্তিতে গ্রেফতার ৭
উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
প্রসঙ্গত, গতকাল বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা কনভয়ে হামলা হয়। ডায়মন্ডহারবারে নাড্ডা সহ বিজেপির অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতাদের কনভয় লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই হামলায় আহত হয়েছেন তাদের একাধিক নেতা। বাদ যায়নি স্বয়ং এরাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। হাতে চোট পেয়েছেন এই বিজেপি নেতা। এদিন মুকুল রায় দাবি করলেন ওই হামলায় চোট পেয়েছেন তিনিও। পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে নামে বিজেপি । যদিও পরে রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে বলা হয়, জেপি নাড্ডার কনভয়ে কিছুই হয়নি। কয়েকজন পথচারী বিক্ষিপ্তভাবে পাথর ছুড়েছে।
ইতিমধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষয়টি যে মোটেও হাল্কা ভাবে দেখা হচ্ছে না তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীর ধানখড়। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না।