ডোমজুড় বিধানসভা থেকে গত দু'বারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থী। এই কেন্দ্র থেকে জিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যআয়ের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও হয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবর তিনি শিবির বদল করে বিজেপিতে গিয়েছেন। তবে গেরুয়া শিবির তাঁর পুরনো গড় ডোমজুড় থেকেই প্রার্থী করেছে রাজীবকে। আর সেখানেই ভোট প্রচারে গিয়ে এবার বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী।
রবিবার ডোমজুড় বিধানসভার খেজুরতলা এলাকায় প্রচার মিছিল বার করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বিহারের মন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা শাওনওয়াজ হোসনে। কিন্তু মাঝপথেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের মিছিল। পুলিশের বক্তব্য এদিনের প্রচার মিছিলের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। মিছিল আটকাতে হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ।
এদিকে এভাবে মিছিল আটকানোর ঘটনায় সরব হন শাওনওয়াজ হোসেন। তৃণমূল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাঁর মিছইল আটকানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। মিছইল আটকানোর প্রতিবাদে রাস্তায় ধরনা দিতে বসে যান রাজীব ও শাওনওয়াজ। বিহারে এনডিএ মন্ত্রিসভার মন্ত্রী শাওনওয়াজ দাবি করেন এর আগে কাশ্মীরে গিয়েও তাঁকে বাধা পেতে হয়নি। কিন্তু বাংলায় এসে এভাবে প্রচারে বাধাদন তিনি প্রথম দেখছেন। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি।
শাওনওয়াজ দাবি করেন, প্রার্থীকে এভাবে পুলিশ প্রচারে আটকাতে পারে না। তিনি নিজে একাধিকবার ভোটে লড়েছেন। এরাজ্যে বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনারদের মধ্যেও অন্যতম তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েই পুলিশ প্রশআসনকে ব্যবহার করে তাঁদের প্রচার আটকানোর চেষ্টা করছে।
এর আগেও ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিকবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ঘাস ফুল শিবিরকে হারতে হবে বলেই তৃণমূল এমন চক্রান্ত করছে বলে বিজেপির দাবি। এদিকে আগামী ১০ এপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফায় ভোট হতে চলেছে হাওড়ার ডোমজুড় কেন্দ্রে।