নন্দীগ্রাম (Nandigram)-এ গুলি চালনার ঘটনায় কাদের শাস্তি হয়েছে? জানতে চায় নন্দীগ্রাম। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-এর কাছে এই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য বিজেপি (BJP)। এদিন তারা টুইটে এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছে।
ওই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধঁছে বিজেপি। এদিন এ ব্যাপারে তারা টুইটে জানিয়েছে, নন্দীগ্রামের নির্বিচারে গুলি চালানোর অপরাধীদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন পিসি। এত বছর পরেও কারা কারা শাস্তি পেল জানতে চায় নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবার। জানতে চায় সমগ্র বাংলা। কোনও জবাব তো দিলেন না পিসি।
নন্দীগ্রামে নির্বিচারে গুলি চালানোর অপরাধীদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন পিসি ।এত বছর পরেও কারা কারা শাস্তি পেল জানতে চায় নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবার ,জানতে চায় সমগ্র বাংলা। কোন জবাব তো দিলেন না পিসি। pic.twitter.com/e1v6mopY78
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) January 18, 2021
এদিন মমতা বলেন, তৃণমূল এই নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে সব আসনে জিতবে। আমি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ালে কেমন হয়? ভাবছিলাম একটু ইচ্ছা হল। এটা আমার ভালোবাসার জায়গা। আমি হয়তো ভোটের সময়ে বেশি টাইম দিতে পারব না। কারণ ২৯৪টা আসনই আমাকে দেখতে হয়। কিন্তু আপনারা সেটা করে নেবেন। পরে যা কাজ আমি সব করে দেবো। এমন দল কোথাও দেখেছেন, ভালোবাসার টানে প্রার্থী হচ্ছে। ভবানীপুরকেও অবহেলা করছি না। সেখানে ভাল প্রার্থী দেব। আমার বিবেক আমাকে বলেছে নন্দীগ্রাম থেকে ঘোষণাটা করা হোক। এটাই আমার সবথেকে লাকি জায়গা। এটা সবথেকে পবিত্র-পূর্ণ জায়গা।
সেখানে তিনি আরও বলেন, সারা দেশে কৃষি আন্দোলন চলছে। ফসল দখল করার একটা চক্রান্ত বিজেপি সরকার করেছে। তোমরা বাংলা দখল করবে। কৃষকদের ৩টে বিল প্রত্যাহার করতে হবে। কেউ কেউ এদিন ওদিন করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মদিনেও তোমরা ছিলে না। কেউ কেউ তোমরা যেতেই পার। এটা তোমাদের স্বাধীনতা। রাজনীতিতে তিন ধরনে লোক হয়। লোভী, ভোগী আর ত্যাগী। যারা ত্যাগী তারা কোথাও যাবে না। আরেকদলের অনেক সম্পত্তি রয়েছে, টাকা রয়েছে। বিজেপি ওয়ার্শিং মেশিন। কালো হয়ে ঘুরবে সাদা হয়ে বেরিয়ে আসবে। তোমরা ভালোটা বেছে নিয়েছে।
উল্লেখ্য নন্দীগ্রামের ঘটনা রাজনীতিতে এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা অভিযোগ পুলিশের গুলিতে ১৪ জনের বেশি মারা গিয়েছিলেন। সেখানে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার নন্দীগ্রামের শিল্প করতে চেয়েছিল অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিয়েছিলেন এবং জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল এই নিয়ে প্রতিরোধ। প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা রাস্তা কেটে প্রশাসনের সঙ্গে সমস্ত রকমের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।