শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikary) বিজেপি (BJP)-কে গোল্লা দেবেন! বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur)-এর নেতাই (Netai)-য়ে কারও নাম না করে এই মন্তব্য করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।
এদিন তিনি শুভেন্দুর কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর দাবি, বিজেপি পশ্চিম মেদিনীপুরে শূন্য পাবে। শুভেন্দু এখান থেকে বিজেপিকে শূন্য দেবেন। তাঁর আরও দাবি, শুভেন্দু আরও অনেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, মুখে মারিতং জগৎ। ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সব কটা আসনে জয়লাভ করতে পেরেছিলেন? আসল কথা অহঙ্কারর, দম্ভ। আমি একা থাকব, আর কেউ থাকবে না। সবাইকে চাকর-বাকর মনে করব। সেই রাজনীতি করার সুযোগ তৃণমূল কংগ্রেসে নেই।
তিনি আরও বলেন, ও তো চারটে আসন পেয়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে। তাই যাদের বলছে জেতাবে, তাদের গোল্লা দেবে! তাদের গোল্লা দেবে! ২০১৪ সাল থেকে যেমন করে যোগাযোগ রাখতেন, অন্যদের সঙ্গেও তেমন করে যোগাযোগ রাখছেন। তাদেরও গোল্লা দেবে, উন্নয়নের জয়রথ মমতার নেতৃত্বে, অন্য দলের সঙ্গে
তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কোনও শক্তি নেই, যাঁরা জনশক্তিকে হারাবেন। আপনাদের আশ্বস্থ করছি। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া বাঁকুড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেছেন, তা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আদিবাসী সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে।
তিনি বলেন, ফেসবুকে যতই ফেস দেখাক, কোনও লাভ হবে না। সমানে আছেন মমতা, সঙ্গে আছেন জনতা। সবাই একসঙ্গে থাকবেন। শান্তি, সৌহার্দ্য, উন্নয়ন, সম্প্রীতি বজায় রাখবেন।
নন্দীগ্রামের সভায় শুভেন্দু জানান, প্রতি বছর আসি। এবারও এসেছি। সকালে নেতাই বেরিয়ে যাব। তাই এখন এসেছি। দল-মত-বর্ণ পেরিয়ে এই দিন পালন করি। আগামীদিনেও তাই করব। এত রাতেও যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের হয়ে এখানে এসেছি। প্রচার করা হয়েছে, এখানে আসতে পারব না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ভয় পায় না।
ওইদিনের ঘটনার কথা মনে করে তিনি বলেন, ওইদিন সকাল বেলায় আমি সেলিমের দেহ তুলেছি। অনেকে অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই করেছি। শুভেন্দু ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি (বিইউপিসি)-এর নামে স্লোগান তোলেন।