মাত্র কয়েকদিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দলের হয়ে পূর্বস্থলীতে প্রথম সভাও করেছেন তিনি। এবার এখন পাওয়া খবর অনুযায়ী, শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর।
শুভেন্দুকে নিরাপত্তা
মাত্র কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। তখনই তিনি আশঙ্কা করেছিলেন তাঁকে মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। সেই মোতাবেক তিনি রাজ্যপালের কাছে চিঠিও দেন। পরে শুভেন্দু অধিকারীর জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রথম সভা থেকে তোপ
গতকালই শুভেন্দু অধিকারী সভা বলেন, "দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিজেপি। অমিত শাহের উপস্থিতিতে আমাকে গ্রহণ করেছে। আমি আগের দলের সব পদ ছেড়ে দিয়ে, একজন সাধারণ ভোটার হিসাবে এই রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছি। আমাকে যারা বিশ্বাসঘাতক বলছেন, তাদের বলি ১৯৯৮ সালে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে পরবর্তী কয়েকটি নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে কারা জোটে ছিলেন। সেই সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ি ও লালকৃষ্ণ আডবানি আশ্রয় না দিলে এই দলের কী হত। সেই সময়ে বিজেপির আশ্রয় না পেলে তৃণমূল দলটাই উঠে যেত। ২০০৪ সালে তমলুক লোকসভা নির্বাচনে লক্ষণ শেঠের বিরুদ্ধে এনডিএ প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলাম।"
আরও পড়ুন, হাওড়াতেই বেসুরো তৃণমূলের ৩ বিধায়ক, সেখানেই সভা শাহের, নেপথ্যে কোনও ইঙ্গিত ?
তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর
তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, "২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম গণহত্যার সময়ে সেইসময়ে লালকৃষ্ণ আডবানি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংরা এসেছিলেন। ৬২ দিন সংসদ অচল করে কেউ যদি নন্দীগ্রাম আলোচনার পর্যায়ে নিয়ে যায়, সেই দলটির নাম বিজেপি। তোলবাজ ভাইপোর হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাও। অমিত শাহ টাইট দেওয়ার পরে কয়লাপাচার-গরুপাচার বন্ধ হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এলে কিডনি পাচার বন্ধ করব। আমি এই দলে প্রয়োজন হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা ধরে রাখব। হারাবই ওদের হারাবই, আমরা জিতব। ১৪ সাল থেকে এসএসসি বন্ধ, টেট কেলেঙ্কারি, গোটা বাংলায় চলছে কেলেঙ্কারি। তৃণমূল নেত্রীকে বলব কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করেছিলেন। পরে ২০১১ সালে তাঁদেরই হাত ধরেছে। পরিবর্তনে আরও একটা পরিবর্তন চাই। কলকাতা-দিল্লিতে একই দলের সরকার চাই। দুয়ারে সরকার নয়, যমের দুয়ার সরকার চলছে।"