পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগেই ২৪ ঘণ্টার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রচার থেকে ব্যান করে নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে এদিনই ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত থাকছে নিষেধাজ্ঞা। জানা যাচ্ছে, ৮টার পরে ফের প্রচারে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী। সল্টলেকে তিনি বিধাননগরের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর সমর্থনে একটি সভা করবেন বলে জানা গিয়েছে। মমতার উপর এই নিষেধাজ্ঞা ঘিরে তুঙ্গে রয়েছে বাংলার রাজনীতি। কমিশনকে তৃণমূলনেত্রী যে উত্তর দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয় বলেই জানা যাচ্ছে। সেই কারণে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫ পাতার একটি নোটিস দিয়েছে কমিশন। সেখানেই তৃণমূলনেত্রীকে এই বিষয়ে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
কমিশনের নোটিস
মুসলিম ভোটারদের নিয়ে তৃণমূলনেত্রীর মন্তব্যের জেরে প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। হুগলির তারকেশ্বরে নির্বাচনী সভায় মুসলিম ভোটারদের উদ্দেশে বিজেপির বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা দেন মমতা। তৃণমূলনেত্রীর এই মন্তব্যের জেরেই প্রথমবার নোটিস পাঠায় কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মমতার থেকে জবাব তলব করেছিল কমিশন। ১০ বার শো-কজ করলেও তাঁর জবাব যে একই হবে এরপরেই কমিশনকে নির্বাচনী প্রচারমঞ্চে বার্তা দিয়েছিলেন মমতা।
আরও পড়ুন, মমতার ভোট-প্রচারে ২৪ ঘণ্টা ব্যান! হিন্দু-মুসলিম মন্তব্যে EC-র পদক্ষেপ
এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দ্বিতীয় নোটিস পাঠায় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের জন্য গত শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার নোটিস পাঠায় কমিশন। কেন গত ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি তা জানতে চাওয়া হয়েছিল ওই নোটিসে। ১০ এপ্রিল অর্থাৎ গত শনিবারের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ক্ষোভ প্রকাশ তৃণমূলের
কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোটিসের যে উত্তর দিয়েছে তা কমিশনকে সন্তুষ্ট করতে পারনি বলেই জানা যাচ্ছে। কমিশনের একাধিক প্রশ্নের উত্তরও নাকি তৃণমূলনেত্রী স্পষ্ট করে দেননি। উল্টে তাঁর বক্তব্য রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে বলে মনে করছে কমিশন। সেই কারণেই এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন ধরনায় বসবে তৃণমূল। জানা যাচ্ছে তাতে সামিল হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।