scorecardresearch
 

দুই পাড়ে দুই ভিন দলের বিধায়ক, পাকা সেতু পেল না কৃষ্ণগঞ্জ-রানাঘাট

স্থানীয় সূত্রে খবর, নদীয়ার মামজোয়ান এবং বাপুজি নগরের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো পারাপার এখনও। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু এই বাঁশের সেতু আজও বর্তমান। পাকা সেতু নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল মাথা ঘামান না বলে অভিযোগ।

Advertisement
কৃষ্ণগঞ্জ এবং রানাঘাট উত্তর-পূর্বের মানুষের পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো (প্রতীকি ছবি) কৃষ্ণগঞ্জ এবং রানাঘাট উত্তর-পূর্বের মানুষের পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো (প্রতীকি ছবি)
হাইলাইটস
  • পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের
  • তবে রাজনৈতিক কারণে পাকা সেতু মিলছে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এবং রানাঘাট উত্তর-পূর্বের মানুষের
  • এখন পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো

পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘদিনের। তবে রাজনৈতিক কারণে পাকা সেতু মিলছে নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এবং রানাঘাট উত্তর-পূর্বের মানুষের। এখন পারাপারের ভরসা বাঁশের সাঁকো।

স্থানীয় সূত্রে খবর, নদীয়া (Nadia)-এর মামজোয়ান এবং বাপুজি নগরের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো পারাপার এখনও। ভোট আসে ভোট যায়। কিন্তু এই বাঁশের সেতু আজও বর্তমান। পাকা সেতু নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল মাথা ঘামান না বলে অভিযোগ।

নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ (Krishnagan) বিধানসভা এবং রানাঘাট (Ranaghat) উত্তর পূর্ব কেন্দ্র বিধানসভার যোগাযোগ মাত্র কয়েকটি বাঁশের তৈরি সাঁকোর ওপর। তলা দিয়ে বয়ে গেছে চূর্ণী নদী। যা আবর্জনায়, কচুরিপানায় প্রায় মজে গিয়েছে। ফলে নৌকা চলাচলের উপযোগী নয়। জল থাকে না সারা বছর।

একমাত্র বর্ষাকালেই নৌকা স্বাভাবিকভাবে যাত্রী পারাপার করে থাকে। বাদ বাকি সময় ভরসা সেই বাঁশের সাঁকো। দুই বিধানসভার বাসিন্দা নিত্য চলাচল করা যাত্রীদের চাষবাস, স্কুল-কলেজ ব্যবসা-বাণিজ্য সবটাই নির্ভর করে গোটা কয়েক বাঁশের ওপর।

এলাকার নিত্যযাত্রীজদের অভিযোগ, ৫ কিলোমিটারের মধ্যে দুটি বাঁশের সাঁকোয় আজও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এপার থেকে ওপারে কোনও দোকানে চা খেতে গেলেও পারানির দুটো টাকা নিয়ে বের হতে হয়।

ঘাট ডাক পাওয়া কর্তৃপক্ষ জানান তিন চাকা পর্যন্ত অনুমতি আছে চারচাকার যাতায়াত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকারিভাবেই বিডিও অফিসের ডাকা টেন্ডার অনুযায়ী, ঘাট জমা নিয়েছেন তারা।

হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা মামজোয়ান অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জানান, কিছুদিন আগে জেলা পরিষদে টাকা এসেছে কালভার্ট নির্মাণের জন্য। কিন্তু ওপারের কিছু দোকানের পুনর্বাসন এবং একটি বিদ্যালয়ের কথা ভেবেই বিঘ্ন ঘটেছে আলোচনায়। তবে এ বিষয়ে বিধায়ক সমীর কুমার পোদ্দার  ওই দোকানদারের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় প্রবীণরা বলেন, কিছুদিন আগেই বর্ষার মধ্যে ভেঙে পড়ে ওই সাঁকোটি। সেটি বাঁশের তৈরি। তাই আগামীতে আবারও ভাঙবে, এটাই স্বাভাবিক। মাপজোপ আলাপচারিতা হয়েছে। এ বিষয়ে মিটিংও হয়েছে। কাজের কাজটা শুধু হয়নি। দুপারের দুই বিধায়ক দুই দলের হওয়ার কারণে এখন তো আর সম্ভব হচ্ছে না।

 

Advertisement