কোচবিহারের ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দোষীদের কড়া শাস্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রবল সমালোচনা করেছেন।
এদিন শিলিগুড়িতে তিনি বলেন, কোচবিহারে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের জন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বিজেপির পক্ষে সমর্থন দেখে দিদি আর তাঁর গুন্ডারা ঘাবড়ে গিয়েছে। কুর্সি যেতে দেখে এই স্তরে নেমে এসেছেন। দিদি, তৃণমূল, আর তাঁর গুন্ডাদের সাফ সাফ বলে দিতে চাই, দিদি আর তৃণমূলের খামখেয়ালিপানা চলবে না। বাংলায় চলতে দেওয়া হবে না।
মোদী বলেন, কমিশনকে আর্জি জানান কোচবিহারের দোষীদের কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এই হিংসা, বাহিনীর ওপর হামলা করার পরিকল্পনা, ভোট আটকানোর চেষ্টা আপনাকে বাঁচাতে পারবেন। ১০ বছরের কুকর্ম হিংসা দিয়ে ঠেকানো যাবে না।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৪ ভোটারের। শনিবার কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায়। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে দেহ আনা হয়েছে। জখম হয়েছে বহু মানুষ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। শীতলকুচিতে চলেছে গুলি। শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে ঘটনা। কমিশন জানিয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষীর বন্দুক থেকে চলেছে গুলি।
রাজ্য পুলিশের এডিজি জগমোহন জানান, ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সিআইএসএফ গুলি চালিয়েছেন। তিনি আরও জানান, গ্রামবাসীরা হামলা চালান। আর তখন গুলি চালানো হয়। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় এক তৃণমূল সমর্থকের দাবি, ভোট উৎসবে শীতলকুচির আমতলি বুথ। মানুষ দলে দলে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। বিনা প্ররোচনায় কেন্দ্রীয় গুলি চালায়। পরিস্থিতি কোনও কিছুই নয়। মানুষ দলে দলে আসছিলেন। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁরা ওখানকার ভোটার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শীতলকুচি বিধানসভার জোর পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫/১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪ জন। অভিযোগ, ভোটে বিজেপি অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী নির্বাচারে গুলি চালায়। এর ফলে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে ৩ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে ওই বুথে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন রয়েছে।