scorecardresearch
 

West Bengal Election 2021 : কূল ছাপানো ব্রিগেডে তারুণ্যের জোয়ার ! কোন পথে নবীন মন জয় বামেদের ?

তরুণ প্রজন্ম কেন বামেদের কর্মসূচিতে হাজির হচ্ছেন? সিপিআইএম-এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)-এর দাবি, তারা তরুণ প্রজন্মের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার লড়াই করছে। কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলন করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, তাদের লড়াইয়ে পাশে রয়েছে বামপন্থীরাই।

Advertisement
রবিবার ব্রিগেডে চোখে পড়ার মতো তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি স্বস্তি দিচ্ছে বামেদের। ছবি: অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী রবিবার ব্রিগেডে চোখে পড়ার মতো তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি স্বস্তি দিচ্ছে বামেদের। ছবি: অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী
হাইলাইটস
  • 'তরুণ ব্রিগেড' দেখে উজ্জ্বীবিত বামেরা
  • রবিবার কলকাতার সমাবেশে আসা মানুষের একটা বড়সড় অংশ তরুণ প্রজন্মের
  • আর এই বিষয়টি বাড়তি মনোবল দিচ্ছে সিপিআইএম এবং বামফ্রন্টকে

ব্রিগেডে 'তরুণ ব্রিগেড' দেখে উজ্জ্বীবিত বামেরা। রবিবার কলকাতার সমাবেশে আসা মানুষের একটা বড়সড় অংশ তরুণ প্রজন্মের। আর এই বিষয়টি বাড়তি মনোবল দিচ্ছে সিপিআইএম (CPIM) এবং বামফ্রন্টকে।

বিধানসভা ভোটেও এই ধারা ধরে রাখতে চায় তারা। অর্থাৎ প্রার্থীতালিকায় তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি করে সুযোগ দিতে চায় তারা। রবিবারের ব্রিগেড থেকে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেয়েছেন, সভাও খানিকটা সামলেছেন এসএফআই-এর দুই নেত্রী ঐশী ঘোষ, দীপ্সিতা ধর। যা ব্রিগেডের সমাবেশের মতো বড় রাজনৈতিক মঞ্চে সাধারণত দেখা যায় না।

তরুণ প্রজন্ম কেন বামেদের কর্মসূচিতে হাজির হচ্ছেন? সিপিআইএম-এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI)-এর দাবি, তারা তরুণ প্রজন্মের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার লড়াই করছে। কর্মসংস্থানের দাবিতে আন্দোলন করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, তাদের লড়াইয়ে পাশে রয়েছে বামপন্থীরাই। বিজেপি বা তৃণমূল তাদের কথা ভাবে না। ফলে তাঁরা বামেদের সমাবেশে হাজির হয়েছে।

ডিওয়াইএফআই (DYFI)-এর অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল তাদের কাজে বাধা দিচ্ছে। অনেক জায়গায় সংগঠনের কর্মীদের আক্রান্তও হতে হচ্ছে। তবে এর মাঝেও সংগঠনের সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, যুবরা তাদের সঙ্গেই রয়েছে, দাবি সিপিআইএমের যুব সংগঠনের।

তাদের দাবি, ২০২০ সালে সংগঠনের সদস্য সংখ্য়া বেড়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। এখন তাঁদের সদস্য সংখ্যা ২৮ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২১ জন। যুব সমাজে বামপন্থীদের নিয়ে নতুন করে আগ্রহ বেড়েছে। তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সদস্যপদে।

এদিকে, দলের তরুণ প্রজন্মকে তুলে ধরা হয় না বলে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে। এ ব্য়াপারে দলের ব্যাখ্যা, বামপন্থী দলে নেতা মাঠেঘাটে লড়াই করে তৈরি হন। কাউকে পদে বসিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ নেই। ঘটনা হল, রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বুস, প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী, প্রয়াত সিপিআইএম নেতা অনিল বিশ্বাস, প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী আন্দোলন থেকেই উঠে এসেছেন।

Advertisement

ব্রিগেডের সমাবেশে চোখে পড়ার মতো তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি নিয়ে সোমবার ডিওয়াইএফআই (DYFI) রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্রর দাবি, যুবকদের কাজের দাবি তাঁরা পথে থেকেছেন, লড়াই করেছেন। তৃণমূল ১০ বছর সময় পেয়েছে, বিজেপি ৬ বছর। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বামফ্রন্ট সরকারের সময় নিয়ম মেনে সরকারি চাকরির পরীক্ষা নেওয়া হত। এখন সে সব হয় না।

তাঁর আরও দাবি, রাজ্যের তরুণ প্রজন্ম সে সব বুঝতে পেরেছে। আর তাই তারা ভরসা করছে লাল ঝান্ডার ওপর। বিজেপি, তৃণমূলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, দু'জনের পরীক্ষিত এবং ব্যর্থ। আর তাই নতুন প্রজন্ম মনে করছে, বাম, গণতান্ত্রিক দল যুবদের সমস্যা সমাধানে কিছু করতে পারে।

 

Advertisement