scorecardresearch
 

'ভাইপোর নির্দেশে সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে আমার নাম' , বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে প্রকাশ্য় সভায় সুদীপ্ত সেনের চিঠি তুলে ধরেছিলেন অভিষেক। এবার যার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দাবি করেছেন, ভাইপোর নির্দেশে জেলে বসা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে। ২১-এর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিরোধীদের নাম দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে।

Advertisement
শুভেন্দু অধিকারী শুভেন্দু অধিকারী
হাইলাইটস
  • শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে প্রকাশ্য় সভায় সুদীপ্ত সেনের চিঠি তুলে ধরেছিলেন অভিষেক।
  • এবার যার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
  • মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দাবি করেছেন, ভাইপোর নির্দেশে জেলে বসা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে।

শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে প্রকাশ্য় সভায় সুদীপ্ত সেনের চিঠি তুলে ধরেছিলেন অভিষেক। এবার যার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র দাবি করেছেন, ভাইপোর নির্দেশে জেলে বসা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে। ২১-এর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিরোধীদের নাম দেওয়া হয়েছে সেই চিঠিতে।  

এদিন শুভেন্দু বলেন,'' ২৭ নভেম্বর আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। ১ ডিসেম্বর জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লিখিয়ছে। জেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন আইপিএস মিস্টার পান্ডেকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছেন। তাকে লিখতে বলেছে, নবান্নে বসে থাকা জিপি সিং নামের এক আইপিএস অফিসার। তাকে আবার লিখতে বলছে, ভাইপোর একজন মোটা আইনজীবী। তোলাবাজ ভাইপোর নির্দেশে এই পুরো কর্মকাণ্ড ঘটেছে। 

শুভেন্দু আরও দাবি করেন, সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে জোর করে বিমান বসুর মতো লোকের নাম দেওয়া হয়েছে। যে বিমান বসু এখনও নিজের জামা নিজে কাঁচেন। দুপুরে ভাতের জায়গায় মুড়ি-শসা খান। এই বলেই থেমে থাকেননি মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। তিনি বলেন,সিপিএমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করেছি। প্রমোদ দাশগুপ্ত, বিনয় চৌধুরী, গীতা মুখার্জি, সুকুমার সেনগুপ্তরা  সবাই এক একজন সিপিএমের দিকপাল ছিলেন। আমার লড়াই লক্ষ্ণণবাবুদের বিরুদ্ধে ছিল, হার্মাদদের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু কখনোই বামপন্থার বিরুদ্ধে ছিলাম না। ২১-এর ভোটে যারা যারা বিরোধিতা করতে পারে সেই অধীর চৌধুরী,বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারীর নাম লিখিয়েছে। ১ ডিসেম্বর এই নাম লেখানো হয়েছে। আর আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি ২৭ নভেম্বর।

এখানেই থেমে থাকেনি অভিষেকের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর বাক্য়বান। মমতার মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য় দাবি করেন, লালার টাকা রয়েছে 'ম্যাডাম নারোলা' নামে এক মহিলার অ্যাকাউন্টে। ক্লাসিকর্ন ব্রাঞ্চ অফ থাইল্যান্ড, সিয়াম প্যারাগন ব্রাঞ্চে ঢুকেছে এই টাকা। মাসে ৩৬ লক্ষ টাকা করে ঢুকেছে ওই অ্যাকাউন্টে। তার রসিদও রয়েছে আমার কাছে। ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় সভা করে ম্যাডাম নারোলাটা কে তা সবাইকে জানিয়ে দেব।

Advertisement

 

Advertisement