scorecardresearch
 

দাবি মতো টাকা না দেওয়ায় মুর্শিদাবাদে 'পিটিয়ে খুন', কাঠগড়ায় TMC-র বুথ সভাপতি

বাংলার আবাস যোজনায় (Banglar Awas Yojana) নাম ওঠার পর তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতির চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো ১ ব্যক্তিকে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার হারোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলনগর গ্রামে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। যদিও তৃণমূলের দাবি বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
  • পুরো টাকা না দেওয়ায় 'পিটিয়ে খুন'
  • তদন্তে সুতি থানার পুলিশ

বাংলার আবাস যোজনায় (Banglar Awas Yojana) নাম ওঠার পর তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতির চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো ১ ব্যক্তিকে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতি থানার হারোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলনগর গ্রামে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। যদিও তৃণমূলের দাবি বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

ঘটনার সূত্রপাত দিন দশেক আগে। জানা গেছে সম্প্রতি বাংলার আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হয়। তালিয়া নাম ছিল গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা সেলিম শেখ ও তাঁর মায়ের। অভিযোগ, এরপরেই তাঁদের থেকে ৪০ হাজার টাকা দাবি করে তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি বাণী ইসরাইল। দাবি মতো ৩০ হাজার টাকা দিয়েও দেয় সেলিমের পরিবার। বাকি ছিল ১০ হাজার টাকা। সেই টাকা দেওয়ার দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে ওই বুথ সভাপতি। অভিযোগ, এরপর গত ১১ তারিখ হটাৎই সেলিম শেখের ওপর হামলা চালায় জনা ছয়েক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহাত অবস্থায় সেলিমকে প্রথমে জঙ্গিপুর, তারপর বহরমপুর এবং শেষে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই দিন তিনেক আগে মারা যান সেলিম। 

ঘটনায় ইতিমধ্যেই সুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তৃণমূলের অবশ্য দাবি, ওই বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

প্রসঙ্গত এর আগেও তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে উঠেছে 'কাট মান' নেওয়ার অভিযোগ। যার জেরে একসময় কঠোর পদক্ষেপ পর্যন্ত করতে হয় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এবার ফের সেই একই ধরনের অভিযোগ। নির্বাচনের আগে এই ধরনের অভিযোগ জনমাসনে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে খারাপ করতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

Advertisement

 

Advertisement